শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অ’নশ’ন করছেন তাসলিমা আক্তার মনি (২২) নামে এক নারী। মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল ৯টা থেকে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে কা’টাচ্ছে’ন তিনি। স্বামীর বাড়িতে অ’নশ’নে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কয়েকবার বে’দ’ম মা’রধ’র করেছেন।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মনির বাবা রাজ্জাক শেখ ও স্থানীয় লোকজন তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভ’র্তি করে। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের জালিয়াহাটি গ্রামের রাজ্জাক ছৈয়ালের ছেলে ইতালি প্রবাসী শাহ আলম ছৈয়ালের (২৮) সঙ্গে একই গ্রামের রাজ্জাক শেখের মেয়ে তাসলিমা আক্তার মনির ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কয়েকদিন ভালোই চলছিল তাদের সংসার।
চার মাস পর ইতালিতেকাগজপত্র ঠিক করতে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শাহ আলম। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পাঁচ লাখ টাকা দেয় মনির বাবা। আবারও দুই লাখ টাকা দাবি করে। দিতে অ’স্বীকার করলে নেমে আসে অমানসিক অ’ত্যাচা’র। অ’ত্যাচা’রে অ’তি’ষ্ঠ হয়ে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান মনি।
শুধু তাই নয় তাসলিমা আক্তার মনি কালো বলে বর্তমানে স্বামী শাহ আলম ডি’ভো’র্স দেবে বলে হু’ম’কিও দিয়ে আসছে। তাই কি করবে চোখে মুখে অ’ন্ধকার দেখে আজ মঙ্গলবার পাঁচ বছরের মেয়ে ইকরাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বারান্দায় ও একটি রুমে অ’নশ’ন শুরু করেন। অন’শনে’ থাকলে শাশুড়ি বিমলা বেগম (৬০), দেবর রাকিব ছৈয়াল (১৯), ননাস নাজমা বেগম (৩৫) ও বেগম আক্তার (২৮) তাকে কয়েকবার বে’দম’ মা’র’ধ’র
করেন। অ’জ্ঞান হয়ে পড়লে সন্ধ্যায় অ’সুস্থ অবস্থায় মনির বাবা রাজ্জাক শেখ ও স্থানীয় লোকজন তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি হাসপাতালের মহিলা সা’র্জা’রি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
তাসলিমা আক্তার মনি বলেন, স্বামীর বাড়িতে আসলে আমার শ্বাশুড়ি বিমলা বেগম, দেবর রাকিব ছৈয়াল, ননাস নাজমা বেগম ও বেগম আক্তারসহ বাড়ির লোকজন মা’রধ’র করে। আমি আমার স্বামীর অ’ধিকার নিয়ে এসেছি। আমাকে স্বামী ডি’ভো’র্সের ভ’য় দেখায়, আমারতো স্বামীর বাড়িতে থাকার অধিকার আছে। আমার স্বামীকে ফিরে
পেতে চাই। স্বামী ইতালিতে থাকেন। তার পরিবার যৌ’তু’ক হিসেবে দুই লাখ টাকা চায় ও আমি কালো বলে স্বামী আমাকে ডি’ভো’র্স দিতে চায়। তাই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসছিলাম।
তাসলিমা আক্তার মনি বাবা রাজ্জাক শেখ বলেন, বিয়ের পর শাহ আলমকে মেয়ের সুখের জন্য যৌ’তু’ক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছি। ছয় ভরি স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন আসবাবপত্র দিয়েছি। তাতে মন ভরেনি। এখন আবার দুই লাখ টাকা চাচ্ছে। আমি গরিব টাকা দিতে পারছি না তাই মেয়েকে মা’রধ’র করেছে। আমি এর বি’চার চাই।
শাহ আলম ছৈয়ালের মা বিমলা বেগম বলেন, বউ মনি আমার মেয়েদের ও ছেলের সঙ্গে দু’র্ব্যব’হার করে। আমাদের কথা শোনে না। একটি অনুষ্ঠানে যাবে আমার মেয়ে, তাই তার গয়না চেয়েছে দেয়নি। তাই আমরা তাকে বউ হিসেবে মানি না।
আমার বাড়িতে তার কোনো যায়গা নেই। আমরা কেউ তাকে মা’রধ’র করিনি।নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। কেউ অ’ভি’যোগ নিয়েও আসেননি। অভি’যোগ পেলে বিষয়টি তদ’ন্ত করে আ’ইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।