ঘুর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালি খাড়াকান্দা গ্রাম। এতে ১৯৬ পরিবার পানি বন্ধি
হয়ে পড়েছে। এসকল পরিবারের অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া পানিতে নষ্ট হয়েছে জমির ফসল, ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালি খাড়াকান্দা গ্রামে। বেড়ীবাঁধের বাহিরে ১৫৭ ও ভিতরে ৩৯ টি পরিবারের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে
যায়। উপজেলা প্রশাসন থেকে বুধবার সামান্য খাবারের ব্যবস্থা করলেও বৃহস্পতিবার দিন তারা কোন খাদ্য সহায়তা পায়নি বলে শিশুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা না খেয়ে আছেন।
এলাকার গোলাম মোস্তফা বলেন, পানিতে আমাদের বাড়ীঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্না-বান্না হচ্ছেনা। পায়খানা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পুরুষরা খোলা জায়গায় বাথরুম করতে পারলেও মহিলাদের বাথরুমে যে কি অসুবিধা হচ্ছে তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারবোনা। আর ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে পরবর্তিতে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, এই বেরী বাঁধের জন্য আমরা একাধিকবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বলেছি, কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। সবই আমাদের ভাগ্যের দোষ। পানিতে ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বীজতলার বীজ,
মরিচ, বাদাম, গোটা ইরি ধানের ক্ষেত পানির নীচে। দু’এক দিনের মধ্যেই এসকল ফসলে পচন ধরবে। জানিনা ছেলে মেয়ে নিয়ে কি খেয়ে বাঁচবো।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিয়া শারমিন বলেন, বুধবার এসকল পরিবারদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আপাতত খাবারের বরাদ্দ নেই, বরাদ্দ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে।