পরকীয়া নি’ষেধ করায় ৭ টু’করো, ইমামের পর গ্রে’প্তার স্ত্রীও

রাজধানীর দক্ষিণখান সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আজহারুল নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর অ’র্ধগলিত সাত টু’করা লা’শ উ’দ্ধারের পর তার স্ত্রীকেও গ্রে’প্তার করা হয়েছে। হ’’ত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী স’ন্দেহে মঙ্গলবার রাতে আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তারকে (৩৩) গ্রে’প্তারের কথা জানায় র‌্যা’ব।

এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে নি’হতের স্ত্রীকে র‌্যা’ব হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছিল র‌্যা’ব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম। রাতে তাকে গ্রে’প্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) ভোরে এ ঘটনায় জ’ড়িত স’ন্দেহে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে আ’টক করা হয়। ওই মসজিদের ইমামের সঙ্গে আজহারের স্ত্রীর প’রকীয়ার কারণেই এ হ’’ত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণখানে ‘মাদ্রাসাতুল রাহমানিয়া আল আরাবিয়া‘ নামের মাদ্রাসার পাশেই সরদার বাড়ি জামে মসজিদ। এই মসজিদে ৩৩ বছর ধরে ইমামতি করে আসছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান। পাশাপাশি মাদ্রাসায় পড়াতেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে কারওয়ান বাজার র‌্যা’ব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যা’ব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানান, আজহারের স্ত্রীর সাথে প’রকীয়ার সম্পর্ক ছিল ইমাম আব্দুর রহমানের- এমন অ’ভিযোগ নিয়ে গত ১৯ মে রাতে ওই মসজিদের দোতলায় ইমামের কক্ষে গিয়েছিলেন আজহার। তিনি ইমামকে তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখতে নি’ষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে পশু জ’বাইয়ের ছু’রি দিয়ে আজহারকে হ’’ত্যা করেন ইমাম আব্দুর রহমান। পরে ভোর পর্যন্ত একাই লা’শ সাত টু’করা করে নিচে সেপটিক ট্যাংকে ফে’লে দেন তিনি। পরে মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য পাশে রাখা সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেন। হ’’ত্যার পর সেপটিক ট্যাঙ্কে ম’রদেহ রেখে নিয়মিত নামাজ পড়িয়েছেন বলেও আব্দুর রহমানের স্বী’কারোক্তি উদ্ধৃতি করে জানায় র‌্যা’ব।

র‌্যা’বের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই মসজিদের ওজুখানার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আজহারের ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পুলিশ। পরে হ’’ত্যায় জ’ড়িত থাকার অ’ভিযোগে মসজিদটির ইমাম মাওলানা মো. আব্দুর রহমানকে (৫৪) আ’টক করে র‍্যা’ব। পরে র‍্যা’ব হেফাজতে জি’জ্ঞাসাবাদে ইমাম আব্দুর রহমান আজহারকে হ’’ত্যার দায় স্বীকার করেন।

লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানান, ঘটনার একদিন আগে স্ত্রী আসমা তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যায়। পরে তাকে জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যা’ব হেফাজতে নেওয়া হয়। জি’জ্ঞাসাবাদ শেষে হ’’ত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী স’ন্দেহে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রে’প্তার দেখানো হয়।

র‌্যা’ব জানায়, আজহার দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণখান এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি এবং তার শি’শু স’ন্তান মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়ার কারণে ইমামের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা আজহারের বাসা পর্যন্ত গড়ায়। ফলে ইমাম মাঝে মাঝেই আজহারের বাসায় আসতেন, খাওয়া-দাওয়া করতেন। এমনকি ভালো রান্না হলে ইমামের কাছে সেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হত।

তবে ইমাম আব্দুর রহমান বলেছেন, আজহার তাকে ভ’য়ভীতি দেখিয়েছে এবং বলেছে তার স্ত্রীর দিকে আমি (আব্দুর রহমান) কু-দৃষ্টি দিয়েছি। এই কারণে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।