যে কারণে প্রতিবছর ফিলিস্তিনে যান ফ্রান্সের শিক্ষক দম্পতি

ফ্রান্সের শিক্ষক দম্পতি পাসকাল ও অ্যানি। মানবসেবায় তাঁরা নিজেদের অবসর সময় কাটান। প্রতিবছর তাঁরা ছুটিতে ফিলিস্তিনে যান। তিন বছর আগে একবার তাঁদের প্যারিসের বাসভবনে ট্রাভেলিং ইমাম ড. ওয়ালিদ হাকিমকে এক প্রী;তিভোজের দাওয়াত দেন। সেখানে ড. ওয়ালিদের দাওয়াহ বিষয়ক একটি প্রোগ্রাম ছিল।

ড. ওয়ালিদ হাকিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন পরিচিত মুখ। ইসলামের দাওয়াত বিষয়ক প্রোগ্রামে অংশ নিতে বিশ্বের ছয় মহাদেশের প্রায় শতাধিক দেশ তিনি ভ্রমণ করেন। ফেসবুকে তাঁর প্রায় দুই লাখের মতো ফলোয়ার

আছেন। নিজের ফেসবুকে শিক্ষক দম্পতির ঘটনা উল্লেখ করে করে বলেন, ‌’কয়েক বছর আগে তিন দিনের জন্য ফরাসি শিক্ষক দম্পতি আমাকে তাঁদের বাসায় দাওয়াত দেন। তখন আমি একটি দাওয়াহ বিষয়ক প্রোগ্রামে অংশ নিতে যাই’।

পাসকাল ও অ্যানি শিক্ষক দম্পতি প্রতিবছর তাঁদের গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে অন্য কোথাও যেতেন। অবশ্য তাঁরা পাহাড়, সমুদ্র বা অন্য কোনো বিনোদনকেন্দ্র পরিদর্শনে যেতেন না। বরং তাঁরা অবকাশ যাপনে ফিলিস্তিনে যেতেন। সেখানে

তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবা করেন এবং বিধ্বস্ত স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী হলেও মিশনারি কার্যক্রমে তাঁরা যুক্ত নন। বরং কোনো কোনো সংস্থার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই।

হালাল খাবারে রাতের আপ্যায়নের পর তাঁরা ফি;লিস্তিন সফ;রের অনে;ক ছবি দেখান। দখলদার সেনারা তাদের কোনো উসকানি ছাড়াই ভয় দেখা;চ্ছে। পা;সকাল ও অ্যানি জানান, তারা একসঙ্গে; থাকার সময় নি;জেদের হাত পেছনে রাখতে হবে।

কারণ অনেক সেন্যরা কাছে এসে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। এরপর স্বেচ্ছাসেবীরা ;আ;ত্ম;রক্ষা;য় তাদে;রকে স্প;র্শ ক;রেছে বা আ;ট;ক করেছে বা হা;ম;লা করেছে বলে মিথ্যা অ;ভিযো;গ করে।

ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য স্বে;চ্ছাসেবী শিক্ষক প্রতি বছর ফিলিস্তিনে গিয়ে কাজ করেন। কিন্তু মুস;লিমরা সেখা;নে গিয়ে স্বেচ্ছাসে;বামূলক কাজ করতে পারেন না। কারণ ;বা;ইরের দেশের মুসলি;মদের ওখানে প্রবেশে নানা ধর;নের বি;ধি-নি;ষেধ আছে।

বিভিন্ন দেশের বি;পু;ল পরি;মা;ণ অমুসলি;মদের ফি;লিস্তিনে গিয়ে স্বেচ্ছাসে;বা নিযু;ক্ত হওয়া;র কা;রণ উ;ল্লেখ করে পাসকাল ও অ্যানি জানান, মূলত নির্বা;কদের কণ্ঠ হ;ওয়ার প্রে;রণা; থে;কেই তাঁরা স্বেচ্ছাসে;বায় অংশ নেন।

তাঁরা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের পক্ষপাতিত্বমূলক বিবরণকে প্রতিহত করতে চায়। তারা বিশ্বাস করে যে প্রতিবেশী, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষার্থীদের কাছে মুখের কথার মাধ্যমে সত্যের পাশে দাঁড়ানো সক্ষম!