রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। কোনো উন্নতি বা অবনতি কিছুই হয়নি। তবে আজ তার অক্সিজেন সাপোর্ট আগের চেয়ে কম লাগছে। অক্সিজেন সহায়তা ছাড়াও শ্বাস নিতে পারছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবে খাবারও খেতে পারছেন।
শনিবার (৮ মে) খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বলেন, আজ অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াও কিছু সময় স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন তিনি। শুক্রবার (৭ মে) তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্টও আগের তুলনায় ভালো বলা যেতে পারে। কিন্তু এখনও তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগের মতোই আছে ম্যাডামের অবস্থা। গতকালের চেয়ে শারীরিক অবস্থায় উন্নতি বা অবনতি কোনোটাই হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) বিদেশে যাওয়া তো সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। সরকার এখনও আমাদের কিছু জানায়নি। তবে খবরে দেখলাম আইনমন্ত্রী বলেছেন, আগামীকাল (রোববার) তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে মতামত দেবেন। সরকারের পক্ষে থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ম্যাডামকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতির প্রশ্ন আসবে। আগে তো অনুমতি পেতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আগের যে চিকিৎসা ছিল, সেটিই অব্যাহত রয়েছে। আজকে তিনি ঘণ্টাখানেকের মতো অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পেরেছেন। খাবারও মোটামুটি স্বাভাবিকভাবে খেয়েছেন। কিন্তু এই ভালোটা কত সময় স্থায়ী হয় সেটাই দেখার বিষয়।’
শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যে চিকিৎসা দিয়েছিল সেটি এখনও অব্যাহত আছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আট জন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
গত সোমবার (৩ মে) সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।