মৌলভীবাজার শহরের একটি প্রাইভেট হা’স’পা’তা’লে জোড়া শিশুর জন্ম হয়েছে। দুজনের পেট একত্রে জোড়া লাগানো। তবে তাদের হাত, পা, মুখ ও মাথাসহ অন্যান্য অঙ্গ আলাদা।
বুধবার (৫ মে) রাতে সদর হা’স’পা’তা’লের গাইনি চি’কিৎ’সক ডাক্তার ফারজানা হক পর্ণা ও এনেস্থেসিস্ট ডাক্তার বি এস এম এরশাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় সিজারের মাধ্যমে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে তারা স্বাভাবিক রয়েছে।
হা’সপা’তা’ল সূত্রে জানা যায়, জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিঙ্গরাউলি গ্রামের জুয়েল মিয়া ও আকলিমা দম্পতির ঘরে বুধবার রাত ১০টায় একই পেটের জোড়া কন্যা শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর মৌলভীবাজার সদর হাস’পা’তা’লের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এম এ হক তাদের দেখে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
প্রাইভেট হাস’পা’তা’লের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শামীম আলম বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে হবে বাচ্চা দুটির হাড় এবং পাকস্থলী আলাদা কি-না। এগুলো আলাদা হলে অস্ত্রোপচার করে তাদের পৃথক করা সম্ভব। তবে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় শিশু হাস’পা’তালে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিলে বাচ্চাদের জন্য ভালো হয়। বড় হলে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কষ্ট হবে।’
জুয়েল আহমদ পেশায় একজন পান দোকানদার। কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বাজারে তার একটি পান দোকান রয়েছে তার। এ দোকানের সামান্য আয় দিয়েই চলে পরিবার। জুয়েল আহমদের পরিবারে তার এক বোন ও ৫ বছরের আরেকটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
জুয়েল আহমদ বলেন, ‘স্থানীয় চি’কিৎ’স’করা বলছেন ঢাকায় উন্নত চি’কি’ৎসার মাধ্যমে শিশু দুটি আলাদা করা সম্ভব। তবে তাড়াতাড়ি করতে হবে। এতে বড় অঙ্কের টাকাও ব্যয় হবে। তার স্বল্প আয় দিয়ে এ ব্যয় বহন করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা চান।