নব্বইয়ের দশকে ব্রিটিশ হলিউড জগতে অভিনয়ের মাধ্যমে মরিয়াম ফ্রাংকয়েস সেররাহ পরিচিত হয়ে ওঠেন। খুব ছোট বয়সে ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’ নামের ফিল্মে অভিনয় করে সুনাম কুড়ান তিনি।
এমিলি ফ্রাংকয়েস ছিল তাঁর পূর্ব নাম। ইসলাম গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে ইসলামসংশ্লিষ্ট ভিডিও সিরিজ ‘ইন্সপায়ার্ড বাই মুহাম্মদ’ তৈরি করে আবারও খ্যাতি লাভ করেন।
ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা : মরিয়াম ফ্রাংকয়েস যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ ও রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক করেন। এখানে পড়া সমাপ্ত করে ২০০৩ সালে ২১ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন।
এরপর জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।লন্ডনের এসওএএস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজের গবেষণা সহকারী হিসেবে মারয়াম কাজ করেন।
কোরআন পাঠে জীবনের নানা প্রশ্নের জবাব : ইসলাম গ্রহণের পর থেকে পবিত্র কোরআন আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। আগে তা আমি রাগের বশে পড়তাম। কেননা তখন মুসলিম বন্ধুদের ভুল প্রমাণের চেষ্টায় তা পড়া হতো। কিন্তু এখন নিজের জীবনকে সুন্দর করতে খোলা মনে তা পড়ি।
পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতিহা আমাকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে খুবই নাড়া দেয়। তা ছাড়া খ্রিস্টবাদ সম্পর্কে আমার বহু সন্দেহের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তা পাঠ করে আমি হঠাৎ উপলব্ধি করি যে আমার ভাগ্য ও কর্মের পরিণতির জন্য আমি নিজেই দায়ী থাকব।
ক্যান্ট, হিউম, সার্ত্রে ও অ্যারিস্টটলে ভাবনা একত্রিত করে পবিত্র কোরআন দীর্ঘকাল ধরে মানব অস্তিত্ব নিয়ে উত্থাপিত গভীর দার্শনিক প্রশ্নের জবাব দেয়। তা ছাড়া মৌলিক একটি প্রশ্ন ‘আমরা এখানে কেন’-এর উত্তরও প্রদান করে।
আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ভেবেছিল যে আমি অন্য কোনো ধাপ পার করছি ও অপরিবর্তিত হয়ে উঠব। তখনো বুঝতে পারছিলাম না যে পরিবর্তনটি আরো অনেক গভীর ছিল।
কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমাকে সমর্থন করে আমার সিদ্ধান্তগুলো বোঝার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। শৈশবের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তাদের মাধ্যমে আমি ঐশী বাণীর সর্বজনীনতা উপলব্ধি করি। আমি নিজের পরিবর্তনকে কখনো সংস্কৃতিবিরোধী হিসেবে মনে করিনি।