মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন হাবিবুর রহমান মিছবাহ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে যারা তি’র্য’ক সমালোচনা করছেন তাঁদের চু;প থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চরমোনাইপন্থী বক্তা হাবিবুর রহমান মিছবাহ। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, চু’প থাকা আমলনামার জন্য জরুরি। কারণ, হয়ত মামুনুল হক তাঁর অন্যায়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষ;মা চেয়ে প্রিয় হয়ে গেছেন বা যাবেন, কিন্তু স’মালো’চকরা থেকে যাবে অনেক পেছনের সারিতে।

তিনি আরও লেখেন, তাঁর (মামুনুলের) পাশে যাঁরা আছেন তাঁদেরও উচিত মামুন ভাইকে আর কোনো ওজাহাত করতে না দেওয়া। স্প;র্শকা;তর বিষয়ে চু;প থাকাই ভালো। আমাকে অ’প;বা’দ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি সেটাই করেছি। পাঁচ মাস আগে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি এবং ক’দিন আগে একটি ভি’ডিও দিয়েছি ব্যস। এতটুকু না হলে অনু;রাগীরা বি’;ভ্রা’ন্তি’তে পড়তেন।

ওই পোস্টে আখলাসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি হাবিবুর রহমান মিছবাহর প’র;কী’য়া প্রেম নিয়ে খোঁ’চা দেন। তিনি লিখেন-মামুন সাহেব আর আপনার (হাবিবুর রহমান মিসবাহ) বিষয় এক নয়, তিনি হা’লাল স্ত্রী নিয়ে হয়তো বিচক্ষ’ণতার অভাবের কারণে সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু আপনার বিষয়টা কিয়াসেও ধরছে না। আর আপনি তিনার পক্ষে লিখলেন নাকি সুযোগে খোঁচা দিলেন বিষয়টি ক্লিয়ার নয়।

জবাবে ক্ষুব্ধ হাবিবুর রহমান মিছবাহ লেখেন, কেনো মিলাবেন তাঁর সংগে? আমার ওপর তোহমতের পক্ষে দলিল দিন! তাঁর কী অন্যায় আছে বা নেই সেটা বুঝতে ডক্টরেট করা লাগবে না। ডিভোর্সের পর কোন্ শরিয়তের আলোকে ঝর্ণার সংগে যোগাযোগ ছিলো তাঁর? এখনও বিয়ে প্রমাণিত নয়। কেন মুখ খোলান, বলতে পারেন? আমার কি এতো কল রেকর্ড আর লাইভ-লাইভ নাটক আছে?

ফাজলামো আর কানাভক্তির একটা সীমা থাকা দরকার। আশা করি আপনারা মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না। একজন আলেম হিসেবে তাঁর পাশে থাকতে চাই, থাকতে দিন। জ্বা;লাতে কম জ্বা;লাননি আপনারা, তবু ধৈ’র্য ধরে আছি। ল;জ্জাও আপনাদের দেখলে ল;;জ্জা পায়। অন্তত ডজনখানিক প্রশ্ন আছে যার উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা আপনার মতো কানাভ;ক্তদের নাই। অতএব চু;প থাকুন। এতো সী;মাল;ঙ্ঘন ভালো নয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পুরো সময় চরমোনাই ও কওমী অংগণে আলো’চিত বিষয় ছিলো, খলিল নামে এক মসজিদের ঈমামের স্ত্রী নাঈমা’র সংগে হাবিবুর রহমান মিছবাহ’র প’র;কী’য়া সম্পর্কের অভি;যোগ। ওই গৃহবধূকে ৫০ হাজার টাকা দামের স্বর্ণের আংটি উপহার দেন তিনি। তাঁর এক বন্ধুর বাসায় ওই নারীকে নিয়ে আসেন বলেও অভি;যোগ ওঠে মিছবাহ’র বি;রু;দ্ধে। এ নিয়ে হাবিবুর রহমান মিছবাহ একাধিকবার ফেসবুক লাইভে আসেন, নিজেকে নি’র্দো’ষ প্রমাণ করতে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আ’দা’লতে গড়ায়।

অবশ্য হাবিবুর রহমান মিছবাহকে সবাই চর;মোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ক;ট্ট;র সমর্থক মনে করা হয়। বিভিন্ন নির্বাচনে দলটির পক্ষে প্রচা’রণাও চা;লিয়েছেন তিনি। পর’কী’য়ার অভি’যোগ ওঠার পরও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি চরমোনাই পীরের দল।