শাহ আহমদ শফীর হেফাজতে ইসলাম ও বর্তমান হেফাজতে ইসলাম যে এক নয়, সেটা এখন স্প;ষ্ট হয়ে উঠছে। হেফাজতে যারা আছেন, তাদের অনেকেও এখন বুঝ;তে পারছেন। তারা এক ধরনের মো;হে পড়ে চলে গেছেন। কিন্তু কোথায় গেছেন, সেটা এখন বুঝতে পারছেন। তাই নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি মসজিদের খতিব আবদুল আউয়ালসহ অনেকেই পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী।
একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সাথে হেফাজতের ‘তা;ণ্ড;বের আন্দো;লনকে’ ল;ক্ষ্যহীন ও ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী। তবে এ আন্দো;লন ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও মনে করেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের ভুল আন্দো;লনের খেসারত হিসেবেই নি;রী;হ ছাত্রদের প্রাণ গে;ছে বলেও মনে করেন আনাস মাদানী। আলাপচারিতায় মাওলানা আহমদ শফীর হেফাজতে ইসলামকে ‘প্রকৃত সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে তার অনুসারীদের নিয়ে সংগঠনটিকে নতুন করে গোছা;নোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন এই হেফাজত নেতা।
আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের পাশাপাশি হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষাবিষয়ক সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন আনাস মাদানী। সংগঠনটির অন্যতম প্র;ভাবশা;লী এই নেতাকে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও হেফাজতের একাংশের বি;রো;ধিতার ফলে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মেহেরীয়া মাদ্রাসার দায়িত্বে রয়েছেন বলে সমকালকে জানিয়েছেন তিনি।
কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজতের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ধ্বং;;স করে দেওয়া হচ্ছে দাবি করে মাওলানা আনাস মাদানী সমকালকে বলেন, ‘হেফাজতের নামে যে আ;ন্দো;লন করা হয়েছে, সেটি ছিল ল;ক্ষ্যহী;ন। ছাত্রদের ভু;ল বু;ঝিয়ে, রাস্তায় নামিয়ে মৃ;;ত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এতে অনেক মায়ের বুক খা;লি হয়েছে। নেতারা এর দায় এড়াতে পারেন না।
হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নেতৃত্ব কেন এই কাজ করল- তা আমরাও বুঝতে পারছি না। আর পুলিশও চাইলে একটু নম;নীয় হতে পারত। গু;;লি না চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আ;;গ্নে;য়া;স্ত্র ছাড়াও তাদের হাতে অন্য অ;;স্ত্র ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বু;ঝতে হবে, নরেন্দ্র মোদি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান নয়; বরং একটি দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এতে দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সুযোগ দেখা দিয়েছিল সরকারপ্রধানের মাধ্যমে কোনো দাবি থাকলে তা তুলে ধরার। বিশেষ করে, ভারতে মুসলিম ও সীমান্তে বিভিন্ন হ;;ত্যা বন্ধসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরা যেত।
কিন্তু তা না করে নি;রী;হ ছাত্রদের রাজপথে, সং;;ঘা;তে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কতটুকু যু;ক্তিযু;ক্ত- সেটা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে কিছু করতে গেলে এসব বিষয় ভাবতে হবে এবং ভেবেচিন্তে সি;দ্ধান্ত নিতে হবে।’ প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যারা হেফাজতে আছেন, হেফাজতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের উৎপা;তে সবাই অ;তি;ষ্ঠ। ধীরে ধীরে তাদের মু;খো;শ উ;ন্মো;চিত হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শফীপুত্র আনাস বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু এখন যারা হেফাজতের দায়িত্বে আছেন, তারা সেই জায়গা থেকে সরে এসেছেন। তারা এখন রাজনৈতিক হা;তি;য়ার হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছেন। একসময় আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই অনেক দাবি আদায় করেছি।
আলোচনার মাধ্যমে হাইকোর্ট থেকে মূর্তি সরি;য়েছি, পাঠ্যবইয়ে ইসলামের সঙ্গে বি;রো;ধপূর্ণ বিষয়গুলো পরিবর্তন করা হয়েছে, নারী নীতিতে বি;রো;ধপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এভাবে আরও অনেক বিষয়ে স;ফ;লতা এসেছে। এবারও সেটা করা যেত। কিন্তু করা হয়নি।’
এই হেফাজত নেতা আরও বলেন, ‘একসময় আমাদের সরকারের দালাল বলে অ;প;বা;দ দেওয়া হতো। কিন্তু কারা যে দালাল, সেটাও এখন বেরিয়ে আসছে। হেফাজতের নামে যা করা হচ্ছে, তাতেই তাদের আসল রূপ বেরিয়ে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা পু;রোপু;রি গু;ছি;য়ে উঠতে পারিনি।
তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে মাঠে আসা যায়, সে জন্য সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের মুরব্বিসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ র;;ক্ষা করে কাজ করছি। আমাদের অনেক মুরব্বি রয়েছেন, যারা নেতৃত্ব দিতে পারেন। কিন্তু আপা;তত কাউকে আনছি না। সবাই মিলেমিশে কাজ করছি। সময় হলে এ বিষয়ে ঘোষণা দেব।’