পল্টন ও সোনারগাঁও থানার একাধিক মা;মলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফ;তারে রাতভর একাধিক স্থানে অভি;যান চা;লিয়েছে আ;ইনশৃ;ঙ্খলা বাহিনী। তবে, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভি;যান অব্যা;হত আছে; যে কোনো সময় মামুনুল হককে গ্রেফ;তার করা সম্ভব হবে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মামুনুল হক আ;টক হয়েছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে প্রথমে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর নেতা ফজলুল করিম কাশেমীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ রকম খবর শোনেননি। তাকে (মামুনুল) কেউ আ;টক বা গ্রে;ফতার করেনি। মামুনুল কোথায় আছেন জানতে চাইলে কাশেমী বলেন, তার কাছে নেই। তবে এক জায়গায় আছে, বলা যাবে না।
এরপর রাত যত বেড়েছে গ্রেফ;তার সম্পর্কিত গু;ঞ্জনের ডালপালা ততই ছড়িয়েছে। এক পর্যায়ে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফ;তার করেছে। এই খবরের সত্যতা জানতে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনারসহ বেশ কয়েকজন ডিসি, এডিসি এবং সিনিয়র এসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, না, মামুনুল হককে গ্রেফ;তার করা হয়নি।
ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, সম্ভবত তাকে র্যা বের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে র্যা বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু খবরের সত্যতা মেলে না।
পরে, মোহাম্মদপুর এলাকার কর্মরত গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মামুনুল হক এখনো আ;টক বা গ্রেফ;তার হননি। বেশ কয়েক জায়গায় অভি;যান চা;লানো হয়েছে। দিবাগত রাত আড়াইটায় তিনি জানান, এখনো অভি;যান অব্যা;হত আছে। অভি;যানে কারা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র্যা ব এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য যে কয়টি জায়গায় অভি;যান চালানো হবে তার মধ্যেই তাকে (মামুনুল) ধরা সম্ভব হবে। তবে, সেটি রাতে নাকি দিনে তা বলা যাচ্ছে না।
অপর একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুর বছিলা ব্রিজ সংলগ্ন জামিয়া আরাবিয়া মাদরাসার সামনে সন্ধ্যা থেকে পুলিশ মো;তায়েন ছিল। ওই মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন মামুনুল হক। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর রাত ১২ টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মামুনুল হককে গ্রেফ;তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সারাবাংলাকে জানান, মামুনুলকে গ্রেফ;তার করা হয়নি। যারা বলেছে তারা রং মেসেজ দিয়েছে।
অন্যদিকে, মামুনুল হককে গ্রেফ;তারের ব্যাপারে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, তারা অভি;যান অব্যাহত রেখেছেন। যে কোনো সময় তাকে গ্রেফ;তার করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে নাম না প্রকাশ করার শর্তে পল্টন থানার একজন পুলিশ পরিদর্শক সারাবাংলাকে বলেন, মামুনুলকে হয়তো পুলিশ গ্রে;ফতার করতে পারছে না। প্রথমে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে। পরে র্যা ব আ;ট;ক দেখিয়ে থানায় হস্তা;ন্তর করতে পারে। তবে সেটা কখন তা বলা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ রাত তিনটায় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুর হোসাইন কাশেমী সারাবাংলাকে বলেছেন, সরকার নিজস্ব লোকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রেফ;তারের গু;জ;ব ছ;ড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবে;ক্ষণ করতে চায়। হেফাজত চু;প থাকে নাকি গ;;র্জে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, মামুনুলকে গ্রেফ;তার করা হলে তৌহিদী জনতা রাস্তায় নেমে আসবে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশি অভি;যান হয়েছে, অবি;লম্বে এসব বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে না;শ;ক;তা ও হ;;ত্যাচেষ্টার অভি;যোগে পল্টন থানায় মামুনুল হকসহ হেফাজতের কয়েকশ নেতাকর্মীকে আ;সা;মি করে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে নারীসহ অব;রু;দ্ধের ঘট;নায় হেফা;জতের তা;ণ্ড;বের পর পুলিশের দুইটি এবং এক সাংবাদিকের করা একটি মামলাসহ মোট তিন মামলার আ;সা;মি মামুনুল হক। সবগুলো মামলাতেই মামুনুল হককে প্রধান অভি;যুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।