পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আবহাওয়া অনুকূলে থাকা আর পরিমিত পরিচর্যার কারণে এবার পেঁয়াজে ভালো ফলন পেয়েছেন ফরিদপুরের কৃষকেরা। চার মাসের পরিচর্যা শেষে ফরিদপুরের মাঠে মাঠে পেঁয়াজ তোলার ধুম পড়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে বেড়েছে কৃষকের ব্যস্ততা।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর জেলায় লালতীর, তাহেরপুরী, লালতীর কিং, হাইব্রিডসহ নানা জাতের পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। বিঘা প্রতি জাত ভেদে ৬০ থেকে ৯০ মন পেঁয়াজের ফলন পাচ্ছেন তারা।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খোয়াড় গ্রামের কৃষক মুজিবুর ফকির জানান, “আমি ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। জমিতে হাইব্রিড জাতের পিয়াজ লাগাইছি। এখন তোলা শুরু করেছি। ফলন মোটামুটি ৮০ মন করে হচ্ছে। বাজারে দামও মোটামুটি ভালো যাচ্ছে। এতে করে আমরা খুশি।”

একই উপজেলার বড় বালিয়া গ্রামের পেঁয়াজচাষী মো: হাসান খাঁন জানান, এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো। গতবার এ বিঘা জমিতে ৬০ মন পেঁয়াজ পেয়েছিলাম। এবার ৮০ মন করে পাচ্ছি। বাজারে যে দাম বর্তমানে যাচ্ছে তাতে এবারও লাভ হবে বলে আশা করছি।

নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদী গ্রামের চাষি এহসানুল হক বলেন, “হাইব্রিড পেঁয়াজ ১২০ মন পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। এখন তো দাম ভালো। কিন্তু কয়দিন পর যদি দাম কমে যায় তাহলে লোকসান হবে। আগামী ৪ টা মাস বিদেশ থেকে যদি পেঁয়াজ আমদানী না করে সরকার তাহলে কৃষক লাভবান হবে।”