বাবুনগরী-মামুনুলের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করছে হেফাজত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঘ’টনায় হেফাজতের ভেতরেই উত্তপ্ত প’রিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে হেফাজতের নায়েবে আমীর পদত্যা’গ ক’রেছেন। শুধু তার পদত্যা’গে র মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। হেফাজতের শী’র্ষ পর্যায়ের একাধিক আলেম এবং হেফাজতের নতুন কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্য হেফাজতের এই ঘ’টনায় ক্ষোভ প্র’কাশ ক’রেছেন।

এজন্য তারা হেফাজতের নতুন আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুলকে দায়ী করছেন। তারা মনে করছেন এদের কারণেই হেফাজতের যে অরাজনৈতিক ঐক্য এবং ভাবমূর্তি সেটি ন’ষ্ট হয়েছে।

হেফাজতের সদ্য পদত্যা’গকারী নায়েবে আমীর আওয়াল বলেছেন যে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা জানে না যে তার কী করছে। এ কারণে তিনি মনে করেন এই ক’র্মকাণ্ডগুলো কওমী মাদ্রাসা এবং ধ’র্মভিত্তিক শিক্ষাকে বিত’র্কিত করবে এবং ধ’র্মভিত্তিক শিক্ষা পিছিয়ে পড়বে।

একাধিক হেফজতের নেতার স’ঙ্গে কথা বলে জা’না গেছে, তারা মনে করছেন বর্তমান সরকার কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি প্রদানসহ মাদ্রাসার উন্নয়নে বিভিন্ন রকম ব্যব’স্থা নিয়েছে। এর ফলে এখন যে ঘ’টনা ঘটানো হয়েছে এর কারণে হয়ত কওমী

মাদ্রাসা চা’পের মুখে পড়বে। মাদ্রাসার শিক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে। একাধিক নেতা বলছেন, যে ক’র্মকাণ্ডটি করা হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং এটি হেফাজতের আদর্শের পরিপন্থী।

হেফাজতের প্রয়াত আমীর আল্লামা শফীর পুত্র বলেছেন, তখন থেকেই আম’রা বলছিলাম যে জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতকে তার কুক্ষিগত ক’রতে চায়। হেফাজতকে আমা’র বাবা আল্লামা শফী অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবেই

প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এবং অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে থাকার কারণে সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলো সংগঠনটি। তিনি বলেন, এখন হেফাজতকে একটি বিত’র্কিত সংগঠন হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে আর এ জন্য বাবুনগরী দায়ী।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, হেফাজতের শান্তিকামী নেতারা মনে করছেন ২৬-২৭ মা’র্চের ঘ’টনাগুলো অনভিপ্রেত ছিলো এবং তারা এখন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছেন। খুব শীঘ্রই হেফাজতের বাবুনগরী এবং মামুনুলের বি’রুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করা

হতে পারে এবং তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। কারণ আল্লামা শফির মৃ’ত্যুর পর বাবুনগরীর ব্যাপারে যে আবেগ ছিলো সেই আবেগ এখন ফিঁকে হয়ে গেছে। এখন হেফাজতে বাবুনগরী একজন ভিলেনে প’রিণত হয়েছে।