মতিঝিলে মোদিবি’রো’ধী বি’ক্ষো’ভ, ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আ’ট’ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্র’তি”বাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বি’ক্ষো’ভ মি’ছিল হয়েছে। মি’ছিলে যুব, ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের ক’র্মীরা অংশ নেন। পু’লিশ মি’ছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বি’ক্ষো’ভকারীদের সঙ্গে পু’লি’শের সঙ্গে সংঘ’র্ষ বাধে। এসময় পুলি’শ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনে’ড ছোড়ে। মি’ছিলকারীরাও পুলি’শকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নি’ক্ষে’প করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টায় মতিঝিল শাপলাচত্বরে এই সংঘ’র্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এ সংঘ’র্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহ’ত হন।অন্যদিকে এ ঘটনার পর মতিঝিল এলাকা থেকে পুলি’শ শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ ১১ জনকে আ’ট’ক করে কাভার্ডভ্যানে করে নিয়ে যায়।

বি’ক্ষোভে পুলি’শের সঙ্গে সংঘ’র্ষে’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা তানজিদ এবং সুবর্ণ নামে দুইজন আ’হ’ত হয়েছেন। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হা’সপা’তালে চি’কি’ৎসা নিচ্ছেন।এ বিষয়ে পুলি’শের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মিন্টু কুমার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মি’ছি’ল নিয়ে মতিঝিল শাপলাচত্বর এলে পু’লিশ সদস্যরা তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা পু’লিশের ওপর

আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পু’লিশ সদস্য আ’হত হয়েছে, তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাস চত্বরে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্র’তি’বাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বি’ক্ষো’ভ ও কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক এবং ছাত্রজোটের নেতাক’র্মীসহ ২৫ জন আহ’ত হন। ওই হামলার জন্য ছাত্রলীগের নেতাক’র্মীদের অভিযুক্ত করেন ছাত্রজোটের নেতারা।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা তখন বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তবে সকাল থেকে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাক’র্মীরা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রজোটের ৩০-৪০ জন

নেতাক’র্মী টিএসসি চত্বর থেকে ‘মি’ছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে আবার টিএসসি ফিরে এসে ডাসের সামনে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করতে থাকেন এবং ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

ছাত্রজোটের নেতাদের অভিযোগ, এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন ‘ক’র্মী কুশপুতুলের আগুন নেভানোর জন্য দূর থেকে পানি ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ক’র্মীরা ছাত্রজোটের নেতাক’র্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। জোটের নেতাক’র্মীরা প্র’তিরোধ গড়ে তুললে ছাত্রলীগ সং’ঘ’বদ্ধ হয়ে আবারও তাদের ওপর হামলা চালায়, তখন দুই পক্ষই সংঘ’র্ষে লিপ্ত হয়।

এতে ছাত্রজোটের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আ’হত হন। প্রসঙ্গত, আজকের ‘বি’ক্ষোভ থেকে আ’ট’ক হওয়া রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। নেত্রকোনা জেলার

পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলেও জানা যায়।