কিছুদিন পরপরই নতুন কোম্পানি কিনে অ্যা’পল। গেল ৬ বছরে অ’ন্তত ১শ’ কোম্পানি কিনেছে অ্যা’পল। এ তথ্য প্র’কাশ ক’রেছেন অ্যা’পলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক।এ পরিসংখ্যানে বলা যায়, প্রতি ৩ থেকে ৪ সপ্তাহে একটি করে কোম্পানি কেনে অ্যা’পল। অ্যা’পলের শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভায় একথা জা’নান টিম কুক।
স’ম্প্রতি অ্যা’পল নিজেদের সর্বো’চ্চ আয়ের রেকর্ড প্র’কাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যা’পলের আয় হয়েছে ১১ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। গেল ১ দশকে অ্যা’পলের সবচেয়ে বড় অর্জন ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে বিটস ইলেক্ট্রনিক্স কিনে নেওয়া। বিটস ইলেক্ট্রনিক্স একটি হেডফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সালে মিউজিক সফটওয়্যার কোম্পানি শাজামকে ৪০ কোটি ডলারে কিনে নেয় অ্যা’পল। এটি অ্যা’পলের আরেকটি হাই প্রোফাইল অর্জন। বেশিরভাগ সময় অ্যা’পল ছোট প্রযু’ক্তি ফার্মগুলো কিনে নেয় এবং তাদের আবিষ্কার নিজেদের পণ্যের স’ঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়।
উদাহরণ হিসেবে দেয়া যায়, ইসরায়েলের থ্রিডি সেন্সিং কোম্পানি প্রাইমসেন্স কিনে নিয়েছিল অ্যা’পল, এই প্রযু’ক্তি এখন অ্যা’পলের আইফোনের ফেইস আইডি হিসেবে কাজ করে। গেল বছর কয়েকটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উদ্ভাবক কোম্পানি কেনে অ্যা’পল। এরমধ্যে আছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিজনেস ইভেন্ট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট স্টার্টআপ।
২০১৯ সালে অ্যা’পল ড্রাইভ এআই কিনে নেয়। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় শাটল ড্রাইভিং সিস্টেম। স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযু’ক্তিকে আরও সমৃদ্ধ ক’রতেই এ উদ্যো’গ নেয় অ্যা’পল। ২০১৬ সালে অ্যা’প’ল চীনা রাইড সার্ভিস ডিডি চুজিং কিনে নেয় ১০০ কোটি ডলারে।
৬ বছরে ১০০টি কোম্পানি কিনলেও এক্ষেত্রে বেশ সচে’তন অ্যা’পল। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক ২০১৩ সালে তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসা কিনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু টিম কুক তাতে সম্মত হননি।
মাইক্রোসফট লিঙ্কডইনের জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার দিয়েছেন, অ্যামাজন হোল ফুডসের জন্য ১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার দিয়েছেন, ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার দিয়েছেন। কিন্তু অ্যাপল সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ে যে কোম্পানিগুলো কিনে নিয়েছে, তার মূল্য এ সব প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।