বুধবার জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন ইউরোপ এবং আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন তারা। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য মোদি সরকার কী কী কাজ করছে তা পর্যবেক্ষণ করবেন এই রাষ্ট্রদূতরা। খবর ইন্ডিয়া ট্যুডে।
একইসঙ্গে জম্মু কাশ্মীরের নিরাপত্তার দিকটিও খতিয়ে দেখবেন তারা। বুধবার বিদেশি এই রাষ্ট্রদূতদের সফর ঘিরে উপত্যকার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
দু’দিনের সফরে সেখানে গেছেন তারা। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত হওয়ার পর সেখানকার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উপত্যকার রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করার অভিযোগে তোলে বিরোধীদের একাংশ।
কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলের পর থেকে অশান্তির আশঙ্কা করে একের পর এক রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করে প্রশাসন। যা নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
উপত্যকার বাম নেতার সঙ্গে দেখা করতে শীর্ষ আদালতে যেতে হয় সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। শেষমেশ সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে কাশ্মীরের বাম নেতা ইউসুফ তারিগামীর সঙ্গে দেখা করতে যান ইয়েচুরি।
কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের মঞ্চে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যেই কাশ্মীর ঘুরে দেখতে দু’দিনের সফরে গেছেন ইউরোপ ও আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতরা।
ইতোমধ্যেই কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ব্লক উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন সফলভাবে সংঘটিত হয়েছে। এরপরেই উপত্যকার সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে গেছেন ইউরোপ ও আফ্রিকার প্রায় ২০ জন রাষ্ট্রদূত। জানা গেছে, এবারের কাশ্মীর সফরে ইউরোপের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সংখ্যাই বেশি।
ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, ফিনল্যান্ডের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতরা কাশ্মীরে গেছেন। এরপর বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং ঘানার রাষ্ট্রদূতরা কাশ্মীরের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যাবেন বলে জানানো হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উপত্যকার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার কোন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করছে এবং পুরো এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি এখন ঠিক কী, তা খতিয়ে দেখতেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এই সফর। এই সফরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও এই বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা কথা বলবেন বলে জানা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কেমন আছেন, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।