বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বী’র উত্তম’ রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধা’ন্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমো’ক্র্যাটিক পা’র্টির (এ’লডি’পি) সভাপতি কর্নে’ল (অব.) ড. অলি আহমদ বী’র বি’ক্রম।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘জ্বলন্ত আগুলে হাত দিলে হাত পুড়ে যায়। আশা করি, সরকার ভুলেও সে কাজটি করবে না। যদি কোনও কারণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল হয়, ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের পর মুক্তিযু’দ্ধে অনন্য অবদানের জন্য তাঁকে ম’রণোত্ত’র ‘বী’রশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হবে।’
গত মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মু’ক্তিযো’দ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের মু’ক্তিযো’দ্ধা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর দুদিন পর অলি আহমদ তার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সরকার হঠাৎ এ ধরনের দুঃস্বপ্ন কেন দেখছে?’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির দুর্দিনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা, অসহায় ছিল, জাতির সেই ক্রা’ন্তিল’গ্নে আলোর দিশারি হিসেবে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরু’দ্ধে স’শ’স্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা দেন এবং যু’দ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তাঁর আহ্বানের ফলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত সব বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, ছাত্র-জনতা বাঙালি সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানিদের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধে’ অবতীর্ণ হন।’
কর্নে’ল অলি আরও বলেন, ‘পৃথিবী’র ইতিহাসে কোনও জায়গায় লাঠিসোঁটা দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়নি। স”শস্ত্র বাহি’নীর অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্ভব কাজ ছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি জেড ফোর্স গঠন করেন। এর মাধ্যমে একাধিক সেক্টরের নেতৃত্ব দেন। তার এই অবদানকে অবমূল্যায়ন করা একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত হবে। মুক্তি’যো’দ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন আমরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে, ফাঁসির ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানের বিরু’দ্ধে যু’দ্ধে নেমেছিলাম। যু’দ্ধে বী’রত্বের জন্য জিয়াউর রহমান খেতাব পেয়েছেন। সুতরাং কোনও মু’ক্তিযো’দ্ধাকে অপমান করা সরকারের উচিত হবে না। মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’