রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান করোনার টি’কাদান কর্মসূচির আওতায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সর্বমোট পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন টি’কা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন লাখ ৮৬ হাজার ৫৭৮ জন ও নারী এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ জন। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন করেছেন ৩৬৩ জন।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টি’কাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এর পরদিন (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউতে পরীক্ষামূলকভাবে ৫৪১ জনকে টি’কা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটি’কাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বমোট পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন টি’কাগ্রহীতার মধ্যে বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে এক লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫ হাজার ৮২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৯৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৩ হাজার ৬৬৪ জন, রংপুর বিভাগে ৫২ হাজার ২৫৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫৯ হাজার ৩৬৯ জন, বরিশাল বিভাগে ২২ হাজার ৬৮১ জন ও সিলেট বিভাগে এক হাজার ৪৭ হাজার ৭২৮ জন টি’কা নেন।
বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্টকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪০ জন, রংপুর বিভাগে ৫১ জন, খুলনা বিভাগে ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন ও সিলেট বিভাগে ১৭ জন রয়েছেন।
এদিকে দেশব্যাপী চলমান করোনা টি’কাদান কার্যক্রমের পঞ্চমদিনে (সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়) টি’কাগ্রহীতার সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশের ৪৬টি সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যস্থাপনা কেন্দ্রে সর্বমোট দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন টি’কা নেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪০ হাজার ১৫২ জন ও ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন নারী। পঞ্চম দিনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ রিপোর্ট করেছেন করেছেন ৮৬ জন।
টি’কাগ্রহীতার বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, টি’কাগ্রহণকারী দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫১ হাজার ১৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৩৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৮৬৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ হাজার ১৮০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ হাজার ৪৭৯ জন, বরিশাল বিভাগে নয় হাজার ৩৯৭ জন ও সিলেট বিভাগে এক হাজার ১৫ হাজার ৭৩৯ জন টি’কা নেন।