প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ আট আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলো, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির, আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল রিফাত, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক।
রায় উপলক্ষে এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের কোর্ট হাজতে রাখা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার একটু আগে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
পাঁচ বছরের বেশি সময় আগে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করা হলো আজ বুধবার।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষে গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ৮ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকালে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।