খারাপ স্বভাবের ক্ষতিকর পরিণতি

‘আখলাকে সায়্যিআ’ বা বদ স্বভাব। দুনিয়ায় বদ স্বভাব বলতে মানুষের সব খারাপ আচরণকে বোঝায়। বদ স্বভাবের কারণে মানুষ দুনিয়াতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হওয় এবং কষ্ট পায় তেমনি পরকালে রয়েছে সবচেয়ে বড় ক্ষতি। তাহলে মানুষের বদ স্বভাবগুলো কী? আর দুনিয়া ও পরকালে এর পরিণতি বা ক্ষতিই বা কী?

বদ স্বভাব বা খারাপ আচরণ বলতে যা বোঝায়, তাহলো- মিথ্যা, অজ্ঞতা, মূর্খতা, অহংকার, কৃপণতা, গিবত, প্রতারণা, হিংসা, রাগ ও যাবতীয় লোভ। বিষেশ করে আল্লাহর স্মরণে উদাসিনতা, আল্লাহকে ভুলে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকা মানুষের বদ স্বভাবের মধ্যে অন্যতম একটি। এ সবই মানুষের বদ স্বভাবে অন্তর্ভূক্ত।

এ সব বদ স্বভাবের কারণে মানুষের দুনিয়ার জীবনে চরম অধপতনের মুখোমুখি হয় এবং কষ্টের জীবন ভোগ করে। এ স্বভাবগুলোর কারণে জীবত মানুষও মৃত আত্মায় পরিণত হয়। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উঠাবো।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১২৪)

দুনিয়ার যারা বদ স্বভাবের অধিকারী হবে; আল্লাহকে ভুলে যাবে। মিথ্যা-অহংকারের পেছনে ছুটবে। তাদের পরকালের পরিণতি আরও ভয়াবহ। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি তা সুস্পষ্টভাষায় ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত হারিসাহ ইবনু ওয়াহাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘(জাওয়ায ও জাযারি) বদ চরিত্র ও বিরক্তিকর স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (আবু দাউদ)

কুরআনের নির্দেশনা ও হাদিসের বর্ণনায় এটি সুস্পষ্ট যে, বদ স্বভাব মানুষের জীবনে এমন এক ক্ষতির বিষয়; যা মানুষের দুনিয়ার জন্য যেমন ক্ষতিকর; তেমনি পরকালও হয়ে যায় বরবাদ। এ থেকে বিরত থাকাই মুমিন মুসলমানের জন্য শ্রেষ্ঠ কাজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব বদ স্বভাব থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। কুরআনের নির্দেশনা ও হাদিসের উপদেশ অনুযায়ী জীবন গড়ার মাধ্যমে দুনিয়ার সুখ ও পরকালে জান্নাত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।