রাজধানীতে র্যা’বের অভিযানে মা’দক, অ’স্ত্র ও কোটি টাকা’সহ গ্রে’প্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গো’ল্ডেন মনিরের’ বিরু’দ্ধে তিনটি মা’মলা হয়েছে বাড্ডা থা’নায়। রোববার সকালে মনিরকে থা’নায় হস্তা’ন্তর করার পাশাপাশি র্যা’বের পক্ষ থেকে মা’মলাগু’লো দা’য়ের করা হয়।
বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, মা’মলা’গুলো করা হয়েছে মা’দক, অ’স্ত্র ও বিশেষ ক্ষ’মতা আইনে। পু’লিশ প্রত্যেকটি মা’মলায় আলাদা করে তার সাত দিন করে মোট ২১ দিনের রি’মা’ন্ড চাইবে।’
আজ রোববার ভোর সোয়া ৬টার দিকে র্যা’ব গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থা’নায় নিয়ে যায় বলেও জানান পুলি’শের এই কর্ম’কর্তা।
এর আগে, গত ২০ নভেম্বর দিনগত রাত থেকে মনিরের বাড্ডাস্থ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রে’প্তার করে র্যা’ব। গ্রে’প্তা’রের পর করা ব্রি’ফিংয়ে বাড্ডার ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত ছয়তলা ভবনের সেই বাসা থেকে অ’স্ত্র, মাদ’কসহ বি’পুল পরিমাণ বৈদেশিক মু’দ্রা, স্বর্ণ ও নগদ টাকা জ’ব্দ করার বিষয়টি জানায় র্যাব।
বিফ্রিংয়ে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কে’টের কাপ’ড়ের দোকানের সাধারণ বিক্র’য়কর্মী মনিরের ‘গো’ল্ডেন মনির’ হয়ে ওঠার গল্প জানান র্যা’বে’র পরিচালক (আইন ও মিডিয়া) লেফ’টেন্যা’ন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘অভিযা’নকালে মনিরের বাসা থেকে ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা (বাংলাদেশি ৯ লাখ টাকা), ৬০০ ভরি সোনা (প্রায় আট কেজি) ও এক কোটি ৯ লাখ টাকা নগদ জ’ব্দ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভি’যুক্ত মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির মূ’লত একজন হুন্ডি ব্যব’সায়ী, স্ব’র্ণ চোরা’কার’বারি এবং ভূমির দালাল। তিনি একটি গাড়ির শো’রুমের সত্ত্বা’ধি’কারী। পাশাপাশি গাউ’ছিয়াতে একটি স্বর্ণের দোকানের স’ঙ্গে তার সম্পৃ’ক্ততা রয়েছে।’
‘আমরা তার বাসা থেকে দুটি বিলাসবহুল অনুমোদনহীন বিদেশি গাড়ি জব্দ করেছি। যার একেকটির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি তার কার সিলেকশন থেকেও তিনটি বিলাসবহুল অনুমোদহীন গাড়ি জ’ব্দ করা হয়েছে,’ যোগ করেন আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘গ্রে’প্তা’রকৃত মনির ৯০ দশকে গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানের বিক্র’য়কর্মী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ক্রো’কারিজ, লাগেজ ব্যবসা (ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য দেশে আনা)
এবং এক পর্যায়ে স্ব’র্ণ চো’রাকার’বারের সঙ্গে তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। তিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অ’বৈধ পথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন।’
র্যা’বে’র এই কর্ম’কর্তা বলেন, ‘মনিরের স্ব’র্ণ চোরা’চালা’নের রুট ছিল ঢাকা-সিঙ্গাপুর এবং ভারত। এই সব দেশ থেকে তিনি ট্যা’ক্স ফাঁ’কি দিয়ে বিপুল পরি’মাণ স্ব’র্ণ বাংলাদেশে আমদানি করেছেন।
যার ফল’শ্রু’তিতে তার নাম হয়ে যায় গো’ল্ডেন মনির।’ স্বর্ণ চো’রাকা’র’বারের জন্য মনিরের বি’রু’দ্ধে ২০০৭ সালে বিশেষ ক্ষ’মতা আইনে একটি মা’মলা দা’য়ের করা হয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘গো’ল্ডেন মনিরের আরেকটি পরিচয় আছে- ভূমিদস্যু। রাজ’উকের কতিপয় কর্মকর্তার সঙ্গে যোগ’সাজশে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
ঢাকা শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, পাশাপাশি বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা এবং কেরা’নীগঞ্জে তার দুই শতাধিকের বেশি প্ল’ট আছে বলে জানতে পেরেছে র্যাব।’ ইতোমধ্যে মনির ৩০টি প্লটের কথা প্রাথমিকভাবে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
র্যাবের পরিচালক বলেন, ‘মনির রাজউকের কাগজপত্র জাল-জালি’য়াতি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে’ছেন। স্ব’র্ণ চো’রাকার’বারি করে তার যে সম্প’দের পরিমাণ, সেটি প্রায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে।’ সূএঃসময়ের কণ্ঠস্বর