সীমান্তের এই মসজিদে নামাজ আদায় করে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষ

রাষ্ট্র ভাগ হলেও ছিন্ন হয়নি সম্পর্ক। প্রায় ২শ বছর আগে ব্রিটিশ শাসন আমলে পূর্ব পুরুষেরা তৈরি করেছিল একটি মসজিদ। ব্রিটিশ শাসকরা চলে গেছে। ভাগ হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হয়েছে সীমান্ত। তবু সম্প্রীতির বন্ধন ভাগ হয়নি। একটি মসজিদকে ঘিরেই মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিকদের।

দেশ ভাগ হলেও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী গ্রামে অবস্থিত মসজিদটি এখনো ইতিহাসের স্বাক্ষী। ২০০ বছরের পুরাতন মসজিদটিতে সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষ এক সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। দীর্ঘদিনের এই সম্প্রীতির বন্ধন এখনো অটুট রয়েছে।

সীমান্ত জুড়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম হলেও এখানকার মানুষ আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

প্রায় ২শ’ বছরের পুরনো হলেও অবকাঠামোগত কোনো উন্নতি হয়নি মসজিদটির। তবে, উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

গ্রামটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার দিয়ে ভাগ হলেও ভাগ হয়নি তাদের সমাজ। এই এলাকাটিতে বাংলাদেশের বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী গ্রামে ৪৫টি পরিবারের তিন শতাধিক এবং

ভারতের গাঁড়ালঝাড়া গ্রামে ৪৫টি পরিবারের প্রায় আড়াইশ মানুষের বসবাস। ১৫শতক জমির উপর অবস্থিত মসজিদটিই এখনও দুই বাংলার মেলবন্ধন হয়ে রয়েছে।