গণমানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলে নতুন রাজনৈতিক দলের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে গণচাঁদা চেয়েছে নুর-রাশেদরা।
বিষয়টি রাজনীতিতে এক সময় ইতিবাচক হিসেবে দেখা হলেও এখন তা বেশির ভাগ ক্ষে’ত্রেই দলের নেতারা ব্য’ক্তিগত সুবিধায় কাজে লাগায় বলে দাবি করেছেন শিক্ষক ও রাজনীতিকরা।
তারা বলছেন, ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরগুলো ব্যক্তিগত নামে হওয়ায় তা আরো সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধি’কার পরিষদের দুই নেতা রাশেদ খান ও ফারুক হোসেনের ফেসবুক একাউন্ট থেকে গণচাঁদা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস ও লিফলেট প্রকাশ করা হয়।
সেখানে তারা তাদের নতুন রাজনৈতিক দল পরিচালনার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে ৮টি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ও একটি ব্যাক্তি নামে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর প্রকাশ করেন।
সাধারণ শি’ক্ষার্থীরা বলছেন, এটি নুর-রাশেদদের পকেট ভারী করার কৌশল ছাড়া কিছুই না। একজন শিক্ষার্থী বলেন, সাধারণ জনগণের কাছ থেকে টাকা নেয়া অবশ্যই কোনো উদ্দেশ্য তার আছে।
আরেকজন বলেন, এভাবে তিনি জনগণের কাছ থেকে টাকা নিতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনীতিকরা বলছেন, অনেক সংগঠনই চাঁদা তুলে দল পরিচালনা করে থাকে। তবে সেখানে আর্থি’ক সব কা’র্যক্রম চলে সংগঠনের নিজস্ব একাউন্টে।
সিপিবি সম্পাদক বলেন, একটা সংগঠনের আর্থিক স্বচ্ছতা থাকতে হলে অবশ্যই ব্যাংকের নামে সংগ’ঠিত হতে হবে। এটা কোনো মানুষের নামে নয়, সংগঠনের নামে হবে।
সাধারণ মানুষকেও এসব বিষয়ে আবেগপ্রবণ না হয়ে বিচার বি’শ্লেষণ করার তাগিদ দিয়েছেন