আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহ আজ শনিবার হাসপাতালের মর্গেই রাখা হবে। আজ দুপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোহাম্মদ নাসিম। টানা দুই সপ্তাহ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা গেলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহ আজ ওই হাসপাতালেই রাখা হবে। আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় ঢাকার সোবহান মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ নিয়ে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে তার পরিবার।
এরপর সিরাজগঞ্জ বি. এ. কলেজ মাঠে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার তৃতীয় জানাজা হবে বাদ জোহর কাজীপুর উপজেলায়।
পরে তার মরদেহ আবার ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে। এরপর বাদ আসর ঢাকার বনানী কবরস্থানে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আজ তার ছোট ছেলে তন্ময় মনসুর দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মোহাম্মদ নাসিমের জানাজা হবে না। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় তা মেনেই তার দাফন ও জানাজা হবে। সীমিত উপস্থিতি থাকবে সকল কার্যক্রমে।
উল্লেখ্য, রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টা করে পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিকেল বোর্ড। এর মধ্যেই পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি তার শরীরে।
মোহাম্মদ নাসিম সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও ছিলেন তিনি।