জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বহিষ্কৃত) আবদুল মাজেদের ফাঁসির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলেও জানা গেছে। কারা মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদকে তওবা পড়িয়েছেন। এসময় চিৎকার করে কেঁদেছেন মাজেদ।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কারা মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ফাঁসির কার্যক্রম পরিদর্শন করতে ঢাকা জেলের ভেতরে প্রবেশ করেছেন।
ফাঁসি কার্যকরের পর তার লাশ ভোলায় দাফন করা হবে। লাশ ভোলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রয়েছে।
জানা যায়, এই সম্পর্কিত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। মঞ্চের লাইট জ্বালানো থাকে না। সেটা জ্বালানো হয়েছে। বিকেল বেলায় আসামির ওজনের সমান ওজন দিয়ে ফাঁসির ট্রায়ালও করা হয়েছে।
তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই কারাগারে ২০১৮ সালে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চ তৈরির পর এখনও কারও ফাঁসি কার্যকর করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসিই প্রথম কার্যকর করা হবে।
কারা সূত্র আরো জানায়, গতকাল মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগমসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।
গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো প্রাণভিক্ষা খারিজের চিঠি পৌঁছায় কারাগারে। তখনই ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে শুরু করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
পরেরদিন বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকল না। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাঁর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।
এর আগে ২৩ বছর ধরে পলাতক আবদুল মাজেদকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।