ফল দিয়ে চার্জ হবে স্মার্টফোন। এমনই খবর জানালো বিজ্ঞানীরা। ফলটির নাম ‘ডিউরিয়ান ফ্রুট’। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এই ফলের বর্জ্যকে ‘সুপার ক্যাপাসিটার’ বা তড়িৎ-এর ধারকে রূপান্তরিত করতে পেরেছেন। ফলে এর থেকে সহজেই এনার্জি উৎপন্ন হতে পারে। অর্থাৎ, তত্ত্বগত ভাবে কেউ তার ফোন, ল্যাপটপ কিংবা দৈনন্দিন অন্যান্য গ্যাজেট এই প্রযুক্তির সাহায্যে চার্জ দিতে পারবে। কেবল এই ফলই নয়, কাঁঠালের বর্জ্য থেকেও এটা করা সম্ভব। এই দু’টি ফলকে নিয়েই এমন গবেষণা করার কারণ এগুলোর ছিদ্রময়তা। ‘সায়েন্স ডিরেক্ট’-এর এক রচনা থেকে এই ভাবে ফলের বর্জ্য থেকে চার্জিংয়ের বিষয়টি জানা যায়।
কী করে কাজ করে?
এই গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ভিনসেন্ট গোমস স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত কাঁঠাল ও ডিউরিয়ান ফলকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ফলগুলি থেকে তাদের বর্জ্য অংশ তুলে এনে তাকে রূপান্তরিত করা হয় স্থায়ী কার্বন এরোজেলে। জলে ফলগুলিকে ফুটিয়ে তারপর তাকে জমিয়ে শুকনো করে এই বর্জ্য অংশ সংগ্রহ করে এটি করা হয়। এই কার্বন এরোজেল হল খুবই হালকা ও সছিদ্র এক বস্তু। এটা দিয়েই ইলেকট্রোড তৈরি করা হয়।
এই প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ কী?
ভিনসেন্ট গোমস জানিয়েছেন, এমন কোনও টেকসই উপকরণের বস্তু যা বিশ্ব উষ্ণায়নে প্রভাব ফেলবে না তা থেকে এনার্জি তৈরি ও সঞ্চয়ের বিষয়ে গবেষণার এখন বিপুল গুরুত্ব। তাঁর মতে, প্রাকৃতিক ভাবে স্বাভাবিক সুপার-ক্যাপাসিটার থেকে উচ্চশক্তির এনার্জি স্টোরেজ ডিভাইস তৈরি করা প্রয়োজন, বিশেষ করে যেখানে ফসিলজাত জ্বালানির পরিমাণ ক্রমশ কমছে। সেই জায়গায় এই পদ্ধতিতে এনার্জি বাড়ালে বর্তমান চালু ব্যবস্থার একটা বিকল্প পথ তৈরি করা যাবে।
কেন এই দুই ফলই?
গবেষকরা দেখেছেন, এই দুই ফল থেকে বর্তমানে ব্যবহৃত বস্তুর থেকেও ভাল সুপার-ক্যাপাসিটার তৈরি করা সম্ভব। এবং সেটা সম্ভব হয় এদের ছিদ্রময়তা ও বড় পৃষ্ঠতলের জন্য। গ্রাফিন থেকে প্রস্তুত দামি উপাদানকে কড়া প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছে এই দুই ফলের বর্জ্য থেকে প্রস্তুত এমন ক্যাপাসিটার।