দীর্ঘ ২৯ দিন সিয়াম সাধনা শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ উদযাপন করছেন অন্যতম আনন্দের উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
ঠিক তখন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ্ কওমী মাদরাসার ৭ শিক্ষক ও ২৫০ জন ছাত্রসহ ২৪৫টি পরিবার রোজা রেখেছেন।
তারা ৩০টি রোজা পূর্ণ করে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঈদ উৎসব পালন করবেন। তারা সবাই হামিউস সুন্নাহ্ কওমী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল কাদেরের অনুসারী।
মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, হাদিসে বর্ণিত আছে চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও চাঁদ দেখে ঈদ করতে হবে। কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির প্রথমে ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহ’র ভিত্তিতে সঠিক ছিল। পরবর্তীতে রাত ১১টায় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহ’র ভিত্তিতে সঠিক হয়নি। শরীয়ত মোতাবেক চাঁদ দেখতে হবে। সাক্ষীও থাকতে হবে। স্বচক্ষে কেউ চাঁদ দেখেছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তাই কোরআন ও সুন্নাহ্’য় বিশ্বাস করে মাদরাসার ৭ শিক্ষক ও ২৫০ জন ছাত্রসহ আশপাশের ধুরিয়াইল, ধানডোবা, নন্দনপট্টি, চাঁদশী, বড়কসবা, চেংগুটিয়াসহ ২০টি গ্রামের কোরআন ও সুন্নাহ্ বিশ্বাসী ২৪৫টি পরিবারের ১২০০ এর বেশি মানুষ বুধবার ভোররাতে সেহরী খেয়ে রোজা রেখেছেন। ৩০টি রোজা পূর্ণ করে আগামীকাল তারা ঈদ উৎসব পালন করবেন।
আব্দুল কাদের বলেন, এছাড়া তার মাদরাসার ২৫ জন ছাত্র রমজান মাসে ২৫টি জামে মসজিদে ইমামতি করেছেন, তারা ওইসব মসজিদে ঈদের নামাজও পড়ায়নি। আাগমীকাল তার ঈদের নামাজ পড়াবেন এবং ঈদ উদযাপন করবেন।