বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। বিশেষত বাবা-মায়ের। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে এই দুশ্চিন্তা লাভ করে পূর্ণমাত্রা।
আবার বিয়ের পর দেখা দেয় দুশ্চিন্তার উল্টো রূপ। সংসারে সুখ-শান্তি আসবে কি-না, নেক সন্তান আসবে কি-না ইত্যাদি হাজারো দুশ্চিন্তা। যদিও সংসারে সুখ আসে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নেক আমলের মাধ্যমে।
প্রত্যেক স্বামী- স্ত্রী নেক সন্তানের আকাঙ্খা করে। এ প্রত্যাশা পূরণে আল্লাহর ওপর একান্ত আস্থা ও বিশ্বাসের বিকল্প নেই। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে পাকে নেক সন্তান লাভের দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।
দোয়াটি হলো- (উচ্চারণ) : রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুর্রিয়াতিনা কুর্রাতা আইয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাক্বিনা ইমামা। অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন।
যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দাও। (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৭৪)
সহবাসের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ আদব-সুন্নাত:
● স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকতে হবে।
● কোন শিশু বা পশুর সামনে সংগমে রত হবে না।
● মুস্তাহাব হলো বিসমিল্লাহ বলে সহবাস শুরু করা। ভুলে গেলে যখন বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।
● সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের [সা.] সুন্নত।
● দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্লেখ্য যে , ধুমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।
● পর্দা ঘেরা স্থানে সংগম করবে।
● সংগম শুরু করার পূর্বে শৃঙ্গার (চুম্বন, স্তন মর্দন ইত্যাদি) করবে।
● কোনোভাবেই কেবলামূখী না হওয়া।
● স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একেবারে উলঙ্গ হবে না।
● বীর্যপাতের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
● বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে।
● নিয়ত ঠিক করুন। হযরত আলী (রা.) তার অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো।
আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও ভালো সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ।