চীন ভিত্তিক স্মার্টফোন নির্মাণকারী ব্র্যান্ড হুয়াওয়েকে আর অ্যান্ড্রয়েড সেবা দেবে না মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগল। ফলশ্রুতিতে হুয়াওয়ের নতুন মডেলের হ্যান্ডসেটগুলোতে আর থাকছে না জিমেইলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত গুগল অ্যাপসগুলো।
একই সঙ্গে বর্তমানে বাজারে থাকা হুয়াওয়ের ডিভাইসগুলোতে আর কোনো ধরনের আপডেট ভার্সন পাওয়া যাবে না স্মার্টফোনের জন্য গুগল মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এন্ড্রয়ডের। রোববার (১৯ মে) আন্তর্জাতিক একটা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি সামনে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ এর কারণে হুয়াওয়ের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করতে যাচ্ছে গুগল। তবে ‘ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম’ এ থাকা সফটওয়্যারগুলোই শুধু সচল থাকবে হুয়াওয়ের স্মার্টফোনগুলোতে।
গুগলের এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব সম্পর্কে ওই সংবাদমাধ্যম বলছে যে, চীনে গুগল ব্যবহার সীমিত আকারে থাকায় সেখানে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না এ সিদ্ধান্ত। তবে চীনের বাইরে অন্যান্য দেশগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড এবং গুগলের নানারকম অ্যাপস বেশ জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। তাই সেসব দেশের হুয়াওয়ে ডিভাইস ব্যবহারকারীরা পড়তে যাচ্ছেন বেশ বড় রকমের ঝামেলায়। যা চীনা প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকা’ ভুক্ত করে। এমন সিদ্ধান্তের পরেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায় গুগল। এর ফলশ্রুতিতে হুয়াওয়ের নতুন হ্যান্ডসেটগুলোতে আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম থাকবে না। তাই থাকবে না ‘গুগল প্লে’ অ্যাপ স্টোর।
তবে এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন, গুগল বা হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। তবে ‘সম্ভাব্য’ সব উপায় হুয়াওয়ে খতিয়ে দেখছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চীনের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচারের মাধ্যমে হুয়াওয়ে এবং আরেক চীনা কোম্পানি জেডটিই গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত আছে বলে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভ-জি সেবার কাজে প্রতিষ্ঠান দু’টিকে ‘নিষিদ্ধ’ও ঘোষণা করা হয়।