রাজধানীর কাওরানবাজার, কাপ্তানবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন মুরগী আসে কয়েক লাখ। পরিবহণ এবং তাপমাত্রার কারণে প্রতিদিনই মারা যায় কয়েক হাজার মুরগী । মৃত মুরগিগুলো ফেলে দেয়ার কথা থাকলেও কখনোই ডাস্টবিনে মৃত মুরগী দেখা যায় না। তাহলে কোথায় যায় মরে যাওয়া সেই মুরগীগুলো। মাই টিভি
রাত আনুমানিক চারটায় রাজধানীর কাওরানবাজার সংলগ্ন সড়কে গাড়ি থেকে মুরগী নিয়ে যাওয়ার পর পড়ে থাকা মৃত মুরগীগুলো সংগ্রহ করে এক যুবক। রাজধানীর অন্য একটি বাজারের চিত্রে দেখা যায় দুই তিনজন লোক ঘুরছে মৃত মুরগীর সন্ধানে। রাতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় পড়ে থাকা অসংখ্য মৃত মুরগী ।
কাওরানবাজারের সকালের দৃশ্যে দেখা যায়, ঝুঁড়ি থেকে মুরগী বের করে বিক্রি করছে এক যুবক। জিবিত মুরগীর দাম যেখানে দের থেকে দু’শ টাকা সেখানে এই মুরগীর দাম শুনলেই বোঝা যায় জীবিত নাকি মৃত মুরগী। এক মুরগী বিক্রেতা বলেন, মুরগীর দাম ৮০ টাকা কেজি। এখন মুরগীর দাম কম তাই এই দামে বিক্রি করি। মৃত মুরগী সংগ্রহকারি এক মহিলা বলেন, এগুলো নিয়ে বিক্রি করি। মানুষ এগুলো খায় ১০ টাকা ২০ টাকা ভাগা দিয়ে বিক্রি করি।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ড্রামেই পাওয়া যায় তিনটি মৃত মুরগী । প্রতিটি দোকান সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন এক দোকানে গড়ে ৫টি করে মুরগী মারা গেলে এক কাওরানবাজারেই মারা যায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মুরগী । রাজধানীর সব বাজার মিলে তা দাঁড়ায় কয়েক হাজার। এসব মৃত মুরগী কোথায় ফেলা হয় জানতে চাইলে মুরগী ব্যবসায়ীরা বলেন, এগুলো ডাষ্টবিনে ফেলা হবে। আর পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসে নিয়ে যাবে। প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি মুরগী ডাষ্টবিনে ফেলা হয়।
ডাষ্টবিন তদারককারিরা বলেন, এখানে কোনো মরা মুরগী আসে না। পা চামড়া এই সব আসে। আসলে মৃত মুরগীগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে মাছের খাবার হিসেবে। বাজার থেকে সংগ্রহ করা এসব মৃত মুরগী এছাড়াও ব্যবহার হচ্ছে রাজধানীর বেশ কিছু সংখ্যক রেষ্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের চিকেন গ্রিল এবং শর্মা খাওয়ার আগে অতিরিক্ত শক্ত, অতিরিক্ত ঝাঁল, জিরার ঘ্রাণ এবং হাড়ের ভিতরে মজ্জগুলো কালো এগুলো লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে খাওয়ানো হচ্ছে মৃত মুরগী; এমন তথ্যই জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর কাপ্তন বাজার এবং কাওরানবাজার মুরগী ব্যবসায়ী এবং এই বাজারগুলোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানী বাজারগুলোতে প্রতিনিয়ত কয়েক বাজার মৃত মুরগী ফেলা হয় ডাষ্টবিনগুলোতে। কিন্তু বাজারের নির্দিষ্ট দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ডাষ্টবিনে কখনোই দেখা যায় না মৃত মুরগী।