যাত্রী সেজে লোকাল বাসে উঠলেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিসস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক, তিনি নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে দোহাজারী উপজেলা যাবে বলে গাড়িতে উঠেন।
এসময় গাড়িতে থাকা হেলপার বলেন, যেখানে নামেন না কেন ৮০ টাকা দিতে হবে। নতুন ব্রিজের টোল ব্রিজ পার হওয়ার পর পূর্ব থেকে অবস্থানরত পুলিশ গাড়ি থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করেন বিআরটিএ’র পরিদর্শক তীর্থ বড়ুয়া। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজের পরিচয় প্রদান করেন এবং ওই গাড়িকে (চট্ট মেট্রো জ- ০৫ ০২০৩) জরিমানা করেন ১৫ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা মাধ্যমে ১০টি মামলায় ১০ গাড়িকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এছাড়াও কাগজপত্র জব্দ করা হয় ৬টি গাড়ির, পরে মাইকিংয়ের মাধ্যমে নির্দেশাবলী জানিয়ে দেয়া হয়।
সরেজমিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গেলে দেখা যায়, লোকাল গাড়িতে ভাড়া যেখানে ২০ টাকা নেয়ার কথা সেখানে রিজার্ভ নাম দিয়ে তা ৬০ টাকা করে নিচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লোকাল বাসগুলোতে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা ম্যাজিস্ট্রেটকে সবকিছু জানিয়ে দেয়। তার পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যেক গাড়িকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা দেন।
আবার যেসব গাড়িতে ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ আছে সে সকল গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করেন। বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক দি বাংলাদেশ টুডে কে জানান, বৃহস্পতিবার দিন আসলে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করে অসাধু চালকরা, তাদের বিরুদ্ধে আজকে অভিযান পরিচালনা করি। এর আগে ছদ্মবেশে গাড়ির যাত্রী সেজে উঠার পর বুঝলাম তারা কীভাবে মানুষকে ঠকিয়ে টাকা আদায় করে।
তিনি আরও বলেন, অভিযান পরিচালনা করার পর তাদেরকে নির্দিষ্ট ভাড়ার অতিরিক্ত যাতে না নেয় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করি এবং যাত্রীদেরকে জানিয়ে দিই অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে যাতে আমাকে একটু জানায়।