সুনামগঞ্জে মালামাল পরিবহনের ভাড়ার টাকা চাওয়ায় সাইদুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক নায়েকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের আলফাত স্কয়ার রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পুলিশের নায়েকের নাম মো. নূর আলম । তিনি সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকায় রিকশাচালক সাইদুল ও পুলিশের নায়েক নূর আলমের মধ্যে রিকশা ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নূর আলম ওই রিকশা চালককে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রিকশাচালক সাইদুলকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহত রিকশাচালক সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের নায়েক নূর আলম বাসা স্থানান্তরের জন্য দিনভর বাড়ির মালামাল শহরের মল্লিকপুর এলাকা থেকে বহন করে হাজীপাড়া নিয়ে আসেন। এ সময় আরও এক রিকশাচালক ছিলেন।
মালামাল স্থানান্তরের জন্য পারিশ্রমিক বাবদ কিছু টাকা দিলেও পুরো টাকা পরিশোধ করেননি নূর আলম। তিনি পরে বাকি টাকা দেয়ার কথা বলেন। সেই টাকা চাইতে গেলে গতকাল রাতে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন নূর আলম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশের নায়েক নূর আলম বলেন, সাইদুলকে আমি সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। তবে ৫০-৬০ টাকা বাকি ছিল। কিন্তু সেই টাকার জন্য সে রোজ আমার বাসায় গিয়ে বিরক্ত করতো। একপর্যায়ে সে আমার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তার সঙ্গে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি গতকাল রাতেই নিষ্পত্তি হয়েছে। এ নিয়ে লেখালেখি করবেন না। এতে আমার সম্মানহানি হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি ওইদিন রাতেই সদর থানার ওসি নিষ্পত্তি করেছেন। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন।