রাজধানীর রমনা এলাকায় চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া এক মেয়ে শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন ওই শিশুর মা। তবে শিশুটির বাবা-মার মধ্যে কয়েক বছর আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। বুধবার রাতে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
পুলিশের রমনা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলা নম্বর ১১। মামলার একমাত্র আসামি শিশুটির বাবা সাহেদুল্লাহ চিশতী। তিনি একটি সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। তিনি এখনো গ্রেফতার হননি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শিশুর মা সাংবাদিকদের জানান, আড়াই বছর আগে তাদের আইনগতভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় থাকতেন শিশুটির মা। খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় থাকতেন বাবা সাহেদুল্লাহ। তাদের দুই সন্তান। তালাকের পর প্রায় ৬ মাস বাবার কাছে ছিল শিশু দুটি। পরে মায়ের জিম্মায় যায় তারা। তবে তাদের স্কুলে নিয়ে যেত তার বাবা।
মঙ্গলবার সকালে বাবা সাহেদুল্লাহ শিশুটিকে বাসা থেকে গাড়িতে করে স্কুলে নিয়ে যায়। পরে দুপুরে শিশুটি একাই স্কুল থেকে বাসায় আসে। সে জানায় তার পেট ব্যাথা। কারণ জানতে চাইলে মেয়ে তাকে (মা) জানায়, রাস্তায় গাড়ির মধ্যে বাবা তাকে নির্যাতন করেছে। এর আগেও বাসায় একাধিকবার শিশুটির সঙ্গে বাবা একই কাজ করেছে।
গতকাল শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে ধর্ষণের প্রমাণপত্র পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন ওই মা। এরপরই প্রমাণপত্র থানায় জমা দিয়ে মামলা করেছেন।
ঢামেকে মেয়েকে দেখতে আসা শিশুটির বাবা ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুনেছি আমার মেয়ের শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। কে আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছে? তার বিচার চাই। মেয়ের মা অন্য কাউকে দিয়ে খারাপ কাজ করিয়ে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে।