মাত্র ১২০ দিনে ( ৪ মাস) পুরো কুরআন শরীফ মুখস্ত করলো আব্দুর রহীম। ৯ বছর বয়সের এই এতিম শিশুটি কক্সবাজার খানকায়ে হামেদিয়া এতিমখানা ও হেফজখানার ছাত্র। টেকনাফের মধ্যম হ্নীলা গ্রামের মরহুম নুরুল আজিমের পুত্র সে। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে আব্দুর রহীম তৃতীয়।
শিশু হাফেজ আব্দুর রহিমের পিতা নুরুল আজিম চার বছর আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যায়। মা ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়ে অন্যত্র। তাই এতিমখানায় মানুষ হচ্ছে শিশুটি।
বাবার মৃত্যু ও মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ায় অনেকটা কুলহীন হয়ে পড়ে আব্দুর রহীম। এরপর দাদা-দাদীর কাছে থাকতে শুরু করে সে। দাদা ইউছুপ ও দাদী সারা খাতুনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন খানেকায়ে হামেদিয়া এতিমখানা ও হেফজ খানায়।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক হাফেজ নাজমুল কামাল জানান, আব্দুর রহীম খুবই মেধাবী ও শান্ত ছেলে। এক বৈঠকেই পুরো তিরিশ পারা কুরআন শরীফ শুনিয়েছে সে। এতিমখানার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তাকে সহযোগিতা করা হয়।
তিনি বলেন, সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা, অভিভাবকত্ব না পেলে মেধাবী শিশুটির পড়ালেখা ও ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ প্রসঙ্গে এতিম খানার তত্ত্বাবধায়ক সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, আব্দুর রহীমের পড়ালেখার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আছে। তবে শিক্ষানুরাগী বিত্তবানরা তার পড়ালেখার সহযোগিতায় এগিয়ে এলে আমরা স্বাগত জানাব।হাফেজ আব্দুর রহীম বড় হয়ে ইসলামের একজন দাঈ ও খ্যাতনামা আলেম হতে চায়। সে সকলের দোয়া চায়।