হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দেয়া টঙ্গীর মাঠে নবী-রাসূলদের সমালোচনাকারী মাওলানা সা’দপন্থি ওয়াসিফুল ইসলাম পক্ষের কোনো ধরনের জোড় ও প্রোগ্রাম করার অধিকার রাখে না। ওই মাঠে জোড় ও প্রোগ্রাম করতে পারবে না বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন। বুধবার দিনগত রাত ৯টার পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বার্তায় হেফাজত আমির ও আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘দাওয়াতে তাবলীগ একটি দ্বীনি কাফেলা। যেখানে সব বয়সের লোকেরা দ্বীন শিখতে পারে।
এ মহতি কাজের জন্য আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দিয়ে গেছেন। আর বাংলাদেশে কাকরাইল মারকাজ মসজিদ থেকে এ কাজটি পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে এই কাজটি কিছু কুচক্রি মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এ বিশ্ব ইজতেমাকে বানচাল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষভাবে মাওলানা সা’দ সাহেবের অনুসারী ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপ এ হীন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। গত বছর সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় যেভাবে ইজতেমা সুন্দর ও ফিতনামুক্ত এবং আলেমদের তত্ত্বাবধানে সফলভাবে আয়োজন হয়েছিল, এ বছরও সেইভাবে ফিতনামুক্ত ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে করার বিষয়ে আপনার সহযোগিতা বিশেষভাবে কামনা করছি।’
ওই বার্তার মাধ্যমে এবার শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও চেয়েছেন হেফাজত আমির।
এর আগে তিনি ইজতেমার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, কল্যাণকর কোনো কাজ কেউ করলে পরবর্তীতেও সে ওই কল্যাণকর কাজের পূণ্য পেতে থাকেন। যাকে শরীয়তের পরিভাষায় সাদাকায়ে জারিয়া বলা হয়।
আহমদ শফি বলেন, এই মহতি কাজটি মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) এর মাধ্যমে শুরু হয়েছে। মুফতি কেফায়াতুল্লাহ (রহ.), মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.), শায়খুল আরব ওয়াল আযম হুসাইন আহমাদ মাদানীর সহযোগিতা, মাওলানা আব্দুল কাদের রায়পুরী (রহ.), আতাউল্লাহবুখারীর মোনাজেরা, মাওলানা মনজুর নোমানী (রহ.), মাওলানা আলী মিয়া নদভীর (রহ.) লেখনী, শায়খুল হাদিস মাওলানা যাকারিয়া (রহ.) লিখিত কিতাব, মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.) ও মাওলানা আব্দুল আজিজের (রহ.) আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এই মেহনত সারা বিশ্বে চালু হয়।–পরিবর্তন