প্রতিটি মুসলমানকে মহান আল্লাহ তায়ালা সবসময় একটি পরীক্ষার মধ্যে রেখেছেন। যারা আল্লাহ পাকের ওই পরীক্ষায় পাশ করবে তাদের জন্য পরকালে অপেক্ষা করছে সুখবর। আল্লাহ পাকের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা ঈমানদার ব্যক্তিদের আল্লাহ তায়ালা জান্নাত প্রদান করবেন। হযরত উম্মে হাবীবা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)’কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি দিনেরাতে ফরয ও সুন্নাত নামায নির্ভুলভাবে আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’
হযরত উম্মে হাবীবা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট থেকে হাদীসটি শোনার পর কোন ব্যক্তিরই কখনো এই নামায ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। হযরত আম্বাসা (রা.) বলেন, হাদীসটি উম্মে হাবীবা (রা.) থেকে শোনার পর আমি কখনো ইহা ছাড়িনি। হযরত আমর ইবনে আউস রহ. বলেন, আম্বাসা (রা.) থেকে শোনার পর আমিও কখনো এই বার রাকাত নামায পরিত্যাগ করিনি। হযরত নোমান ইবনে সালেম রহ. বলেন, এই হাদীসটি শোনার পর থেকে অদ্যাবধি আমি কখনো এই নামায ছেড়ে দেইনি। (মুসলিম শরীফ, হাদীস-১১৯৮)
নামাযের বিনিময় জান্নাত! জান্নাত অর্জন করা কত সহজ। আমরা প্রতিনিয়ত গাফলতি করে নামায আদায় করি না। হযরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সর্বদা নামায আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।(নাসাঈ শরীফ, হাদীস-১৭৭১)