সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ ধর্ষন। বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমে যে দুর্ঘটনাগুলোর কথা বেশি শোনা যায় ধর্ষন তার একটি। সামাজিক এ ব্যধিতে আজ দিশেহারা মানুষ। সঠিক বিচার-ব্যবস্থার অভাবেই দিন দিন এ অপরাধ প্রবণতা বেড়ে চলেছে।
নিরাপরাধ ধর্ষিতা যেমন অবস্থার শিকার। তেমনি ধর্ষণের ফলে যদি গর্ভে সন্তান চলে আসে তবে সে সন্তানের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবে ধর্ষণের শিকর নারী। গর্ভের সন্তান রাখবে নাকি অংকুরেই নষ্ট করে দেবে? এ ব্যাপারে রয়েছে ইসলামের কিছু দিক-নির্দেশনামূলক বর্ণনা-
ধর্ষণের ফলে যদি কোনো নারীর গর্ভে সন্তান চলে আসে। তবে দেখতে হবে গর্ভে সন্তান আসার পর কতদিন অতিবাহিত হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভের সন্তানের শরীরে যদি রূহ চলে আসে, তবে সে সন্তান নষ্ট করা যাবে না। নষ্ট করা বৈধ হবে না। গর্ভের সন্তানের শরীরে রূহ আসে চার মাস পর। অর্থাৎ ১২০ দিন পর। আর এ অবস্থায় গর্ভের সন্তান নষ্ট করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। কোনো যুক্তিতেই ৪ মাসের বেশি বয়সের গর্ভের সন্তান নষ্ট করা যাবে না।
কিন্তু যে নারী ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়েছেন কিন্তু গর্ভের সন্তানের শরীরে রূহ আসেনি, সে সন্তান রাখা কিংবা নষ্ট করা নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
– কেউ কেউ মনে করেন, গর্ভের সন্তানের শরীরে রূহ না আসলে তা নষ্ট করে ফেলা বৈধ।
– আবার অনেকে মনে করেন, যে ধর্ষিতা নারীর গর্ভের সন্তানের শরীরে রূহ আসেনি, তা নষ্ট করা মাকরূহ।