মুসলমানদের জানা উচিৎ- আমরা অনেকেই হয়ত ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সহবাসের স্বাভাবিক নিয়ম বা পন্থা সম্পর্কে জানি না। এখানে এ বিষয়ে একটু ধারণা দেয়া হলো যদিও হাদি থেকে বিভিন্ন আসনে সহবাস করার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
তবে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়।সর্বপরি এদিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিতকরা
১। রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগেসহবাস করবে না।
২। ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী সহবাস করবে না।
৩। সহবাসের প্রথমে দোয়াপড়বেন। স্ত্রী সহবাসের দোয়া।তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন।স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালো বাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহবাস।তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন।
৪। স্ত্রী সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করিবে না। তাহার সাহিত মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীর ও তাই করা উচিৎ।
৫। রবিবারে সহবাস করবেন না।
৬। স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেননা।
৭। বুধবারের রাত্রে স্ত্রীর সহবাস করবেন না।
৮। চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
৯। স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখেজ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়।
১০। বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১১। সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না।
১২। নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৩। উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৪। জোহরের নামাজের পরে
স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৫। ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৬। উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৭। স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
১৮। পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না।