উসামাহ (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুল (সাঃ) বলেন, শোন, তোমরা কেউ কি জান্নাতের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছ? (তোমাদের সকলে জান্নাতের জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত) কেননা, কেউ চিন্তা করতে পারবে না জান্নাত কেমন হবে? আমি কাবার প্রভুর শপথ নিয়ে বলছি জান্নাত হলো লাইট যা ঝিলিক দেয় ।
জান্নাতে থাকবে সুগন্ধিময় গাছ যা মৃদু বাতাসে দোলবে। সুউচ্চ বিশাল বাড়ী, দীর্ঘ নদী, প্রচুর পাকা ফল, অপরূপ সুন্দরী যুবতী স্ত্রী এবং অনেক পোশাক । (জান্নাতীরা থাকবে) একটি চিরন্তন স্থানে যেখানে থাকবে শুধু সুখ ও আনন্দ । (যে বাস করবে) উঁচু, নিরাপদ এবং সুন্দরত্তম (রাজকীয়) ঘরে । সাহাবীরা (রা.) বলেন যে, জান্নাতে যাবার জন্য আমরা কাজ করব- ইন-শা-আল্লাহ ।”
যখন জান্নাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা খুবই আনন্দের তখন আমাদের উদ্দেশ্য হবে, জান্নাতের জন্য কাজ করা । সকল পাঠক পরকালীন জীবনের সফলতাকে জীবনের উদ্দেশ্য হবে, জান্নাতের জন্য কাজ করা । সকল পাঠক পরকালীন জীবনের সফলতাকে জীবনের উদ্দেশ্য বানাবার নিয়ত করা উচিত।
আল্লাহ সুহানাহু আমাদের এ পৃথিবীতে তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বাত্মক সাধনা করার ক্ষমতা দান করুন এবং ঈমানের সাথে আমাদের মৃত্যু দিক । আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমকে জান্নাতের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরষ্কার তার সন্তোষ এবং তার দর্শন আমাদেরকে দান করুক । আল্লাহ মুসলিম যুবক-যুবতীদের এ পৃথিবী এবং পরকালের বাস্তবতা বুঝার ক্ষমতা দান করুক ।-আমীন ।
মানুষ তার নিজস্ব সীমাবদ্ধ ও ক্ষুদ্র জ্ঞানের মাধ্যমে সৌন্দর্য্যকে বর্ণনা ও উপভোগ করে । আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞান ও বিজ্ঞতা নিয়ে এ সকল জান্নাতী রমণীদের সৌন্দর্য বর্ণনা করেন । সুতরাং আমরা ধারণা করতে পারি কি সুন্দরই না হবে রমণীরা!
রাসুল (সাঃ) বলেন, যদি জান্নাতের একজন তরুণী পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে আকাশে ও পৃথিবীর মাঝের শূণ্যস্থানে আলো সুগন্ধি দিয়ে ভরে ফেলবে । তার মাথার স্কার্ফ পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম ।
যদি তার মাথার স্কার্ফই পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে উত্তম হয় তাহলে কত মূল্যবান হবে সে সুন্দরী রমণী নিজে? আখিরাতের এ মহা পুরষ্কার লাভের জন্য কারো কামনা বাসনাকে ত্যাগ করা সহজ । এ চিরন্তন পুরষ্কারের ওয়াদা ছাড়া অন্য খুব কম বিষয়ই আছে যা মানুষের কামনা বাসনাকে দমন করতে পারে । বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের ক্ষেত্রে তো এটা একেবারেই অসম্ভব ।