তা ভয়াবহ – ‘রাস্তায় নেমেছে তারা। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। তাদের আমরা কোন রকম বাধা দেইনি। বরং সহযোগিতা করেছি। অনেকে খাবার এনে দিচ্ছে। যাই করুক আমি বলছি যে, ধৈয্য ধরতে হবে। পুলিশের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে। বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে। র্যাবের ওপরে হামলা হয়েছে, অনেক কিছুই হয়েছে। সবাই ধর্য্য ধরেছি।’
‘কিন্তু আমরা এখন কি দেখতে পাচ্ছি। এখন যেটা দেখতে পাচ্ছি তা ভয়াবহ। এর ভিতরে তৃতীয় পক্ষ চলে আসছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে গাউছিয়া মার্কেটে স্কুলের ইউনিফর্মের বিক্রি বেড়েছে হঠাত করে। পলাশী থেকে আইডি কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। তাহলে এইগুলি কারা দিচ্ছে। এরা কি আদৌ ছাত্র! কখনো মুখে কাপড় বেঁধে কখনো হেলমেট বেঁধে নানা চেহারায় এক এক জন ঢুকে যাচ্ছে। আমি এখন শঙ্কিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (০৫ আগস্ট) সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২টি গ্রিড উপকেন্দ্র ও ২১ জেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে বিএনপি দেশের মানুষের সব সেবার পথ বন্ধ করেছিল।
ভিডিও কনফারেন্স থেকে পাঁচটি বেসরকারি ও ৩টি সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে এখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়ালো ১৮ হাজার ৯০২ মেগাওয়াট। এছাড়া ওই অনুষ্ঠান থেকেই ভিডিও কনফারেন্স করে নারায়ণগঞ্জ ও খাগড়াছড়িতে দুটি গ্রিড উপকেন্দ্র এবং ২১ জেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে জানিয়ে নীতিনির্ধারকরা বলেন, নতুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালুর ফলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ১ হাজার ৭৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।