গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

কোন ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সবাইকে সজাগ থাকার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে গণভবনে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি বলেন, আধুনকি প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যবহার করতে হবে। এটা যেন অপব্যবহার করা না হয়। ফেসবুকে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। নোংরা কথাবার্তা ব্যবহার করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এখন তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। গাউসিয়া মার্কেট থেকে হঠাৎ করেই স্কুল ইউনিফর্ম বিক্রি হয়ে গেছে। পলাশি থেকে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে। এই তৃতীয় পক্ষ কোমলমতি শিশু-কিশোরদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

যারা আগুন দিয়ে মানুষ মারতে পারে, আগুন সন্ত্রাস করে অনিক, হৃদয়ের মতো মেধাবী ছাত্রদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে পারে, তারা শিক্ষার্থীদের ওপরও যে কোনো সময় ভয়াবহ কিছু ঘটাতে পারে বলেন তিনি।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েদের ঘরে রাখেন। তারা যেটুকু করেছে যথেষ্ট করেছে। এখন তৃতীয় পক্ষ যদি কিছু ঘটিয়ে ফেলে তার দায় কে নেবে? বাবা-মা, শিক্ষকদের অনুরোধ করছি কোমলমতি শিশুদের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পড়াশুনায় মনোযোগ হতে বলেন।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পড়াশোনা আবার শুরু করতে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা অনেকেই আমার নাতিপুতির বয়সী। তোমরা পড়াশোনায় ফিরে যাও।

প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনাদের সন্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনার। তাদের রাস্তা থেকে তুলে তাদের স্কুলে কলেজে পাঠান। লেখাপড়ার পরিবেশ নিয়ে আসেন। তারা লেখাপড়া করুক। যথেষ্ট হয়েছে, আর না। এবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যেতে হবে। আর কোনো মায়ের কোল খালি হোক সেটা আমি চাই না,’ বলেন তিনি।

গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া ও রাজীব। ওই সময় কুর্মিটোলা ফ্লাইওভারের কাছে শিক্ষার্থীরা বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলে। দুটি বাসের রেষারেষিতে একটি বাস শিক্ষার্থীদের উপর উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে রাজপথে নামতে থাকে তারা।