তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটের অভাব নেই। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, সেক্স প্রসঙ্গে যারা সংযমী, বেশি পর্ন তারাই দেখে! বলা হয়েছে যারা সেক্স নিয়ে কথা বলে বা একেবারেই বলে না, তাদের মধ্যে পর্ন দেখার প্রবণতাও বেশি।
সাধারণত আমরা ধরে নেই, যৌনতা বিষয়ে আগ্রহীরাই পর্নো সাইটগুলোর নিয়মিত ব্রাউজার। কিন্তু সমীক্ষা বলছে একেবারেই উল্টোটা। কেন? কারণ, ডব্লুডব্লুডব্লু ডট বাসেল ডট কম একটি ১৯৯৮ জন পুরুষকে তিনটি বিভাগে ভাগ করে একটি সমীক্ষা চালায়। তিনটি বিভাগের মধ্যে একদল, যারা বেশি যৌন আগ্রহী, একদল যাদের যৌন সংসর্গের অভিজ্ঞতা রয়েছে আর একদল, যারা যৌনতা নিয়ে সংযমী।
এই তিন বিভাগের পুরুষদের মধ্যে সমীক্ষার পর দেখা গেছে, যারা বেশি যৌনতা মুখে পছন্দ করেন, তারা কিন্তু আদৌ খুব একটা পর্নগ্রাফি দেখতে আগ্রহী নন। বরং যারা সংযমী বেশি, তারাই লুকিয়ে পর্নোগ্রাফিট দেখেন।
তাছাড়া, পর্নোগ্রাফির দর্শক মানে শুধুই পুরুষ নয়! হাজার হাজার নারী বর্তমানে যৌনতার নতুন কলাকৌশল শিখতে পর্নোগ্রাফিতে মজেছেন। কেউ বাস্তবজীবনে সঙ্গীর অভাব মেটাতে পর্ন দেখছেন। বহু নারী বিছানায় চরম সুখের মুহূর্তে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পর্নস্টারদের নানা কর্মকাণ্ড দেখছেন তারা। এমনটাই জানিয়েছেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ক্রমেই বাড়ছে ইন্টারনেটে পর্নসাইটের নারী ক্রেতার সংখ্যা। গবেষক ডায়না প্যারি জানিয়েছেন, নারীদের মধ্যে যৌনতা সংক্রান্ত এই সচেতনতা এবং স্বতন্ত্র চাহিদা এর আগে দেখা যায়নি।