প্রতি বছর হজের সময় পবিত্র কাবা শরীফ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এই কালো কাপড়কে বলা হয় কিসওয়া। এবারও কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাবাঘর।
চারিদিকে কালো কাপড়ের পাশাপাশি নিচের দিকের অংশে সাদা কাপড় দেওয়া হয়েছে। কাবা ঘরের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আহমেদ আল মানসুরি বলেন, হজের সময় অসংখ্য মানুষ পবিত্র এই স্থান স্পর্শ করে। কোনো রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতেই কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, কাবা শরীফ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞরা তাৎক্ষণিকভাবে খেয়াল রাখছেন। হজের পর পরই কালো কাপড় সরিয়ে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।
কাবা শরীফের উচ্চতা পূর্ব দিক থেকে ১৪ মিটার, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে ১২ দশমিক ১১ মিটার এবং উত্তর দিক থেকে ১১ দশমিক ২৮ মিটার। এর ভেতরের মেঝে রঙ্গিন মার্বেল পাথরে তৈরি।
ভেতরের দেয়ালগুলো সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলো প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এর ছাদে একশ ২৭ সে.মি লম্বা ও একশ চার সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে। যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবা ঘরের ভেতর ধোয়া হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়।
কাবা ঘরের ভেতর প্রতি বছর দু’বার ধোয়া হয়, শাবান মাসের ১৫ তারিখ এবং মহররম মাসের মাঝামঝি সময়। মেঝে এবং দেয়াল গোলাপ আতর মিশ্রিত জমজমের পানি দিয়ে ধোয়া হয়।
ধোয়ার পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়। কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরণটি প্রতি বছর ৯ জিলহজ্জ পরিবর্তন করা হয়।