গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ জুলাই) ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই তারিখ ধার্য করেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওইদিন আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেওয়া হবে কিনা- সে বিষয়েও আদেশ দেওয়া হবে।
গতকাল রবিবার মামলার নথি ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান হিরো।
গত ২৩ জুলাই এই মামলায় আট জীবিত জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়। জঙ্গি হামলায় হাসনাত করিমের জড়িত থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মামলার নথি সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ঘটনার বিচার করবেন।’
গত ২৩ জুলাই এই মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আসামিদের বিচারের ব্যবস্থা করতে এই চার্জশিট দেন। এই আইনে দায়ের করা মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। মামলা স্থানান্তর হওয়ার পর বিচারকাজ শুরু হবে।
মামলায় যে আটজনকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন গাইবান্ধার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, নওগাঁর আসলাম হোসেন ওরফে আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ, কুষ্টিয়ার আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, জয়পুর হাটের হাদীসুর রহমান ওরফে সাগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, বগুড়ার রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, বগুড়ার মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও রাজশাহীর শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ।
মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ পলাতক রয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। অন্য ছয়জন কারাগারে রয়েছেন। অভিযুক্ত সবাই নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে চার্জশিটে বলা হয়েছে।
আটজনকে অভিযুক্ত করা হলেও হলি আর্টিজানের ঘটনায় ২১ জঙ্গির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হন। অন্য আটজন জঙ্গিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন।