টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে ওই বাসেরই চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছে এক গৃহবধূ। নিহতের নাম শিউলী বেগম (২৮)। জানা গেছে, নিহত শিউলী বেগম পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে, শিউলী বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দিন অতিবাহিত হতে চললেও তদন্ত শুরু করেনি পুলিশ। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিউলীর পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) বাদ এশা জানাজা শেষে পুষ্টকামুরী কবরস্থানে শিউলীর লাশ দাফন করা হয়। অন্যদিকে, শিউলীর দুই শিশু সন্তান মাকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেন। বাসে উঠার প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থানে পৌঁছার পর যাত্রী বেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত শিউলী বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে সেই সময় বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এই ঘটনার এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে শিউলী বেগম চলন্ত বাস থেকে লাফ দিলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ বাস এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারেনি বলে শিউলীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী শিউলীর গ্রামের হান্নান মিয়া এবং চায়না বেগম জানিয়েছেন, ওই বাসটিতে মাত্র দুই তিনজন লোক ছিল।
ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর নিহত শিউলীর স্বামী শরীফ খান মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়। এদিকে, নিহতের দুই শিশুপুত্র সিফাত এবং তাওহিদ তাদের মায়ের জন্য প্রচণ্ড কান্না করছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।