পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পার্টি মুসলিম লীগ-নওয়াজের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তবে তেহরিকে ইনসাফ ছাড়া আর সব দল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এ খবর দিয়েছে পার্সটুডে।
বুধবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তেহরিকে ইনসাফ পেয়েছে ১১১টি আসন এবং মুসলিম লীগ-নওয়াজ পেয়েছে ৬৫টি আসন। এ ছাড়া, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৪৩টি, এমকিউএম ৫টি এবং এমএমএ ৯টি আসন লাভ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে বলে কথা রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যার পর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হতে শুরু করার পর তেহরিকে ইনসাফ দলের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করে।
এদিকে পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে এবং এর ফলাফলে জনগণের প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফলকে ‘অযৌক্তিক ও অসঙ্গত’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে কঠোর আপত্তি জানিয়েছে।
তবে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রধান (সিইসি) মুহাম্মাদ রাজা খান এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছেন, নির্বাচন ১০০% সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৪টায় রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিয়ে তেহরিকে ইনসাফ দলকে বিজয়ী করার জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল।