বাংলাদেশে কোন সময়- শুক্রবার মধ্যরাত অর্থাৎ আগামী ২৭ জুলাই (কোনও কোনও দেশের জন্য ২৮ জুলাই) দেখা যাবে শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এই বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণটির স্থায়িত্ব হবে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এদিন লালচে রং ধারণ করবে চাঁদ; যাকে বলা হয় ‘ব্লাড মুন’।
আর্থস্কাই জানায়, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশগুলো থেকে দেখা যাবে এ মহাজাগতিক দৃশ্য। এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ থেকে ২৭ জুলাই দিনগত মধ্যরাতের পর অথবা ২৮ তারিখ ভোর থেকে চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করা যাবে।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ আর আগে-পরের দু’টি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ মিলিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলো-আঁধারিতে ঢাকা থাকবে চাঁদ। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের আগে ও পরে আরও দুইবার হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
নরওয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট টাইম অ্যান্ড ডেট ডটকম জানাচ্ছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৪ মিনিটে শুরু হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। চলবে রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। তার পর শুরু হবে শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
তা শেষ হবে রাত ৩টা ১৩ মিনিটে। এরপর আবার ৩টা ১৩ মিনিটে ফের শুরু হবে আংশিক গ্রাস, যা শেষ হবে রাত ৪টা ১৯ মিনিটে। শতাব্দীর এই দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে।
প্রতিবেশি ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলও পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়বে শুক্রবার। কারণ, কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে ওই দিনই পৃথিবীকে মাঝখানে রেখে সূর্যের ঠিক উল্টো দিকে চলে যাবে মঙ্গল, যেখানে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ‘উপনিবেশ’ বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মানবসভ্যতার।
শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ ছাড়াও জুলাই মাসে আরেকটি বিরল দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে পারবেন নক্ষত্র প্রেমীরা। ৩১ জুলাই ২০০৩ সালের পর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে মঙ্গলগ্রহ। এদিন পৃথিবী থেকে ৩ কোটি ৫৮ লাখ মাইল দূরে অবস্থান করবে লাল গ্রহটি এবং আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই দেখা যাবে।