ম্যাডাম বাধ্য করতেন শুতে, এরপর…

মানুষের মন যে কত বিকৃত হতে পারে বর্তমান সময়ে তা বুঝা মুশকিল। আবার এই বিকৃতকারী যদি মানুষগড়ার কারিগড় একজন শিক্ষিকা হয় তাহলেতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা শিক্ষক জাতি। ভাবছেন এমন কঠিনভাবে কেন বলছি? সম্প্রতি এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমনই কিছু ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছি।

ওই শিক্ষিকা নগ্ন অবস্থায় নাবালিকাদের তার সঙ্গে শুতে বাধ্য করতেন। তার মাধ্যমে ৪০ জন নাবালিকাকে ধর্ষণও করেছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। দিনের পর দিন চলছিল যৌন নির্যাতন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের মুজফফরপুর জেলার একটি সেফহোমে।

জানা গেছে, নাবালিকাদের নগ্ন অবস্থায় শুতে বাধ্য করতেন শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকা কিরণ নিজেও নগ্ন হয়ে ঘুমোতেন, পাশে থাকত ৩-৪ জন নাবালিকা। এক নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। দেহ খুঁজতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

মাসখানেক আগে একটি এনজিও এর মাধ্যমে ওই হোমের যৌন হেনস্থার চিত্র সামনে আসে। সেই তথ্য জানতে পেরে প্রকাশ্যে আনে পুরো বিষয়টি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জন স্টাফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকাদের সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য জায়গায়।

এই ঘটনায় নীতিশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী প্রতাপ যাদব।

আরজেডির তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্চ মাস থেকে মুজফফরপুরের হোমে দিনের পর দিন কিছু নেতা আর কর্মীরা মিলে ধর্ষণ করেছে ৪০ জন নাবালিকাকে। অনেককে গর্ভপাতে বাধ্যও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাদের বয়স ৭ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। মাসের পর মাস এর নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা। কয়েকজন নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি।