আমার মরার পর তিথিকে লাশটা দেখিয়ে সমাধি করবেন!

প্রেম বিরহ বড়ই আজব একটি জিনিস। এর জন্য মানুষ এমন পাগল থাকে, থাকে মোহর মধ্যে। আর এই মোহ এতটাই প্রখর যে নিজের জীবনের কোথাও চিন্তা করে না এখনকার যুবক যুবতীরা। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন এক গার্মেন্টস শ্রমিক। রবিবার রাতে ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাড়া বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে সুমন বাউলী (২৫) নামের ঐ যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত যুবক পিরোজপুর জেলার কাউখালি থানার রাধাকাটি গ্রামের সুনীল বাউলীর ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের বালিথা একেএইচ গ্রিল পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ভালোবাসার মানুষের কাছে কোনো সাড়া না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমন বাউলী। তবে আত্মহত্যার আগে নিহত সুমন তার বড় ভাই জয় ভাউলীর কাছে চিরকুট লিখে যান।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই ভজন রায় জানান, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

চিরকুটটি পাঠকদের জন্য হুবহু দেয়া হলো

‘জয়, মা-বাবাকে দেখিস ভাই। আর তাদের কখনো দূরে ফেলে দিস না। মাকে অনেক ফোন দিলাম, ধরল না। মা-বাবা ভালো থেকো। দিদি-দাদা তোমরা মা-বাবাকে কখনো পর করে দিও না। আর দাদা বৌদি তোরা ভালো থাকিস। ফোনটা বিক্রি করে দিয়েন দাদা। টাকাটা বাবার কাছে দিয়েন। নইলে ফোনটি আপনি চালাইয়েন। আমি চলে গেলাম আপনাদের ছেড়ে দূর থেকে বহুদূরে। দাদা, মা-বাবাকে দেখে রাখিস। আমি চলে গেলাম। তাদের দেখার মতো আর কেউ রইল না জগতে। আর আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি ওই মেয়েকে অনেক ভালোবাসতাম। ওকে কোনো দোষ দিয়েন না। আমার আর বাঁচার ইচ্ছে করছে না। তাই চলে গেলাম সবাইকে ছেড়ে। আর একটা কথা, আমার মরার পর তিথিকে লাশটা দেখিয়ে সমাধি করবেন। আর আমার মানিব্যাগে কিছু টাকা রেখে গেলাম। আর মনুগে দেখে রাখবেন।’