সাংবাদিকতা একটা চ্যালেঞ্জিং পেশা। এ পেশায় নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন বিষয়ে নিউজ কাভার করছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত হচ্ছেন। তাদের দেখলে গর্বে বুক ভরে যায়। ঘর থেকে কর্মক্ষেত্র সকল জায়গায় নারী তার যোগ্যতা দিয়েই নিজের অবস্থান তৈরি করছেন-এমনটাই মনে করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মিডিয়ার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের কোথায় নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তা মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা দ্রুত জানতে পারি এবং সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে উইমেন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ ও নারী উন্নয়ন শক্তি’র যৌথ উদ্যোগে নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক রিপোর্টিং এর জন্য সেরা সাংবাদিকদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। উইমেন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টির সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, নারী উন্নয়ন শক্তির নির্বাহী পরিচালক ড. আফরোজা পারভীন প্রমুখ। আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের সময়ে জ্বালাও-পোড়াও এর উপর নিউজ করতাম। মিডিয়ায় তখন সেটাই ছিল সংবাদ। বর্তমানে উন্নয়ন সাংবাদিকতা হচ্ছে বড় সাংবাদিকতা। প্রধানমন্ত্রী কিভাবে উন্নয়ন করছেন সেটা সংবাদ হবে। একজন কৃষক বেশি ফসল উত্পাদন করলে সেটি যেমন সংবাদ হয়। আবার জামায়াত-শিবিরের লোকজন গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করলে সেটিও সংবাদ হয়। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের সমাজে নারী নির্যাতন ঘটছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সামাজিক আন্দোলনে শরিক হতে হবে। ড. আফরোজা পারভীনের মতে, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করতে পারলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার তথা সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে সম্পৃক্ত করার কাজে নিয়োজিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও অর্থ তুলে দেন। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ওয়াজেদ হীরা, দ্বিতীয় হয়েছেন দৈনিক নিউ এইজ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি ইয়াসমিন রীমা ও তৃতীয় হয়েছেন যুগান্তরের ‘সুরঞ্জনা’ পাতার বিভাগীয় সম্পাদক রীতা ভৌমিক। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন এসএ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ফারজানা শোভা, দ্বিতীয় হয়েছেন সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শাতিলা শারমীন ও তৃতীয় হয়েছেন নিউজ টোয়েন্টি ফোরের কুড়িগ্রামের প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য্য। সাউথ এশিয়া উইমেন্স ফান্ড, শ্রীলংকার সহায়তায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।