৩টি কারণে মহানবী (সা.) এর নাম শুনলে দুরুদ পাঠ করতে হয়

দুরুদ অর্থ শুভকামনা বা কল্যাণ প্রার্থনা। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাম শুনলে অবশ্যই আপনাকে দুরুদ পাঠ করতে হবে। কিন্তু নবীজী (সা.) এর নাম শুনলে ঠিক কেন আপনাকে দুরুদ পাঠ করতে হবে তা কি আপনি জানেন? দুরুদ বলতে ‘সলাত আলান নাবি’ অর্থাৎ নবী করিম সা. এর প্রতি দুরূদ পাঠ বা তাঁর জন্য শুভকামনা, গুণকীর্তন, তাঁর প্রতি আল্লাহর দয়া-করুণা ও প্রার্থনা বোঝায়। দুরুদ বিষয়টি অতীব মর্যাদা ও সম্মানের।

তাই শুধু দুরুদ শব্দটি ব্যবহার না করে এর সঙ্গে ‘শরীফ’ তথা সম্মানিত বিশেষণ যুক্ত করে বলা হয় ‘দুরুদ শরিফ’। আরবিতে ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’ বা ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ই হলো দরুদ শরীফ। প্রতিটি মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হলেও দুরুদ শরীফ পাঠ করা ফরজ। আর নবীজীর নাম শুনলে বেশ কয়েকটি কারণে দুরুদ পাঠ করতে হবে। তবে প্রধানত ৩টি কারণে নবীজী (সা.) এর নাম শুনলে আপনাকে দুরুদ পাঠ করতে হয়। ১। হজরত মুহাম্মদের নাম শুনলে দুরুদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব, তাই আপনাকে অবশ্যই দুরুদ পাঠ করতে হবে। একই মজলিসে বারবার নাম শুনে দুরুদ শরীফ পাঠ করা সুন্নত। ২। নবী করিম সা. বলেন, ‘যে আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করল, আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল করেন, তাকে ১০টি নেকি দান করেন, তার ১০টি গোনাহ মাফ করেন।’ (বোখারি ও মুসলিম) ৩। কোরআনুল কারিমে রয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা নবীজির ওপর রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতারা তাঁর প্রতি রহমত কামনা করেন; হে বিশ্বাসী মোমিনরা তোমরা তাঁর প্রতি দুরূদ পাঠ করো।’